ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ

হৃদয়-মায়ার্সের তাণ্ডবে বরিশালের দুরন্ত জয়

কাজটা বোলাররাই সেরে রেখেছিলেন। স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১২৫ রানেই আটকে দিয়েছিলেন জাহানদাদ খান-রিশাদ হোসেনরা। জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ১২৬ রান। সে রান তুলতে মোটে ১০.৩ ওভার খরচ করেছেন দলটির ব্যাটাররা।

তাওহিদ হৃদয় আর কাইল মায়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে বরিশাল। এই জয়ে চার ম্যাচে তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে তামিম ইকবালের দল। টানা তিন হারে তলানিতে চলে গেছে সিলেট।

যদিও সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল বরিশাল। আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক তামিম ইকবাল এদিন ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফিরেছেন। অন্য ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৩ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি।

তবে ৬ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে নিয়েছেন তাওহিদ হৃদয় এবং কাইল মায়ার্স। তৃতীয় উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন তারা।

দল যখন জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে তখন ব্যক্তিগত ৪৮ রানে তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান হৃদয়। তার ২৭ বলে খেলা ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর ২টি ছক্কার মার।

হৃদয় ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মায়ার্স। ৩১ বলে ৫ চার আর ৪ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার।

এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার রনি তালুকদারের (০) উইকেট হারায় সিলেট। তবে অন্য ওপেনার রাকিম কর্নওয়াল (১৮), জাকির হাসান (২৫) এবং জর্জ মানসিদের (২৮) ব্যাটে শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি দলটির। ৭ ওভারেই তারা স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ৭০ রান জমা করেন।

ধসের শুরুটা হয় নবম ওভারে। এক বলের ব্যবধানে মানসি এবং অ্যারন জোনসকে সাজঘরের পথ চেনান জাহানদাদ খান। সেই যে আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু, তা আর থামেনি। ২ উইকেটে ৭৬ থেকে মুহূর্তেই ৮ উইকেটে ৮৯ রানে পরিণত হয় দলটি। মাঝে আরিফুল ২৯ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩৬ রান করে সিলেটকে একশ পার করে দেন। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট পান পাকিস্তানি পেসার জাহানদাদ ও বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন।

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

হৃদয়-মায়ার্সের তাণ্ডবে বরিশালের দুরন্ত জয়

আপডেট সময়: ১০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

কাজটা বোলাররাই সেরে রেখেছিলেন। স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১২৫ রানেই আটকে দিয়েছিলেন জাহানদাদ খান-রিশাদ হোসেনরা। জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ১২৬ রান। সে রান তুলতে মোটে ১০.৩ ওভার খরচ করেছেন দলটির ব্যাটাররা।

তাওহিদ হৃদয় আর কাইল মায়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে বরিশাল। এই জয়ে চার ম্যাচে তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে তামিম ইকবালের দল। টানা তিন হারে তলানিতে চলে গেছে সিলেট।

যদিও সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল বরিশাল। আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক তামিম ইকবাল এদিন ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফিরেছেন। অন্য ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৩ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি।

তবে ৬ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে নিয়েছেন তাওহিদ হৃদয় এবং কাইল মায়ার্স। তৃতীয় উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন তারা।

দল যখন জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে তখন ব্যক্তিগত ৪৮ রানে তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান হৃদয়। তার ২৭ বলে খেলা ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর ২টি ছক্কার মার।

হৃদয় ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মায়ার্স। ৩১ বলে ৫ চার আর ৪ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার।

এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার রনি তালুকদারের (০) উইকেট হারায় সিলেট। তবে অন্য ওপেনার রাকিম কর্নওয়াল (১৮), জাকির হাসান (২৫) এবং জর্জ মানসিদের (২৮) ব্যাটে শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি দলটির। ৭ ওভারেই তারা স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ৭০ রান জমা করেন।

ধসের শুরুটা হয় নবম ওভারে। এক বলের ব্যবধানে মানসি এবং অ্যারন জোনসকে সাজঘরের পথ চেনান জাহানদাদ খান। সেই যে আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু, তা আর থামেনি। ২ উইকেটে ৭৬ থেকে মুহূর্তেই ৮ উইকেটে ৮৯ রানে পরিণত হয় দলটি। মাঝে আরিফুল ২৯ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩৬ রান করে সিলেটকে একশ পার করে দেন। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট পান পাকিস্তানি পেসার জাহানদাদ ও বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন।