
লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা ও পরিবারের সান্নিধ্যে ৪ মাস কাটিয়ে দেশে ফিরলেন খাদেলা জিয়া। দুই পুত্রবধূ ছাড়াও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য, যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার এম আহমেদও দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতার রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা। এদিকে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে ডা. জোবাইদা রহমানকে ও মরহুম আরাফাত রহমান কোকর স্ত্রী শরমিলা রহমানকে শুভেচ্ছা জানাতে ঢাকা জেলা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা, এসময় ঢাকা জেলা যুবদলের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন।

বেগম জিয়া কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা। দেশে ফিরে আবারও বিএনপির নেতৃত্ব ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন নেতাকর্মীরা। এর আগে লন্ডন সময় সোমবার (৫ মে) দুপুরে তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে আসেন হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ১৭ বছর ধরে প্রবাসে অবস্থান করা বড় ছেলে তারেক রহমানের জন্য মা এবং স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে বিদায় দেয়া ছিল আবেগের। বিমানবন্দর এলাকায় তাদের গাড়ি পৌঁছালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে আসেন হাজার হাজার প্রবাসী নেতাকর্মী। স্লোগান দিয়ে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিদায়ী অভ্যর্ত্থনায় সিক্ত হন বেগম জিয়া। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেইসঙ্গে নেতাকর্মীদের তারেক রহমানকে দেখে রাখতে বলেন বেগম জিয়া।