ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নোয়াবের গভীর উদ্বেগ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি এ কে আজাদ এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সম্প্রতি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকাকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং সামগ্রিকভাবে দেশের গণমাধ্যম পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে গণমাধ্যম ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

তিনি আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায় জনগণ একত্র হয়েছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গত এক বছরে সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।”

জনকণ্ঠ প্রসঙ্গে এ কে আজাদ বলেন, “আমরা আশঙ্কাজনকভাবে লক্ষ্য করেছি, সম্প্রতি একটি ‘মব’ গঠন করে জনকণ্ঠ পত্রিকার উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ এবং দাবি আদায়ের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কর্মীদের কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তা শ্রম আদালতের মাধ্যমে, আর সংবাদ সংক্রান্ত কোনো বিরোধ হলে তা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে মীমাংসার কথা। কিন্তু এসব না করে পত্রিকার কার্যালয় ও অনলাইন পোর্টালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।”

টিআইবির প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি জানান, “গত এক বছরে (আগস্ট ২০২৪ – জুলাই ২০২৫) ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬৬ জনকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনের সময় তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অন্তত ২৪ জন গণমাধ্যমকর্মী চাকরি হারিয়েছেন, আটটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও ১১টি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তাপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”

এই প্রেক্ষাপটে নোয়াবের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, “গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমে ‘মব’ তৈরি করে মালিকপক্ষকে হুমকি দেওয়ার সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে তা গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।”

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নোয়াবের গভীর উদ্বেগ

আপডেট সময়: ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি এ কে আজাদ এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সম্প্রতি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকাকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং সামগ্রিকভাবে দেশের গণমাধ্যম পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে গণমাধ্যম ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

তিনি আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায় জনগণ একত্র হয়েছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গত এক বছরে সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।”

জনকণ্ঠ প্রসঙ্গে এ কে আজাদ বলেন, “আমরা আশঙ্কাজনকভাবে লক্ষ্য করেছি, সম্প্রতি একটি ‘মব’ গঠন করে জনকণ্ঠ পত্রিকার উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ এবং দাবি আদায়ের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কর্মীদের কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তা শ্রম আদালতের মাধ্যমে, আর সংবাদ সংক্রান্ত কোনো বিরোধ হলে তা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে মীমাংসার কথা। কিন্তু এসব না করে পত্রিকার কার্যালয় ও অনলাইন পোর্টালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।”

টিআইবির প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি জানান, “গত এক বছরে (আগস্ট ২০২৪ – জুলাই ২০২৫) ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬৬ জনকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনের সময় তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অন্তত ২৪ জন গণমাধ্যমকর্মী চাকরি হারিয়েছেন, আটটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও ১১টি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তাপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”

এই প্রেক্ষাপটে নোয়াবের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, “গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমে ‘মব’ তৈরি করে মালিকপক্ষকে হুমকি দেওয়ার সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে তা গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।”