ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ছবি নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করায় মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল সরকারের।

রাষ্ট্রপতির ছবি নিয়ে ব্যস্ত সরকার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে — রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, “রাষ্ট্রপতির ছবি থাকবে কি থাকবে না, সেটা নিয়ে সরকার যত ব্যস্ত, তার চেয়ে যদি বাংলাদেশের ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন ঠিক করার দিকে সরকার মনোযোগী হতো, তাহলে দেশটা এখন আরও সঠিক পথে থাকত।”

বুধবার (২০ আগস্ট) জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল পরিচালিত ‘অন্য মঞ্চ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, “গত এক বছরে রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, মানুষকে একত্রিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব সরকার পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পোর্ট্রেট সরানোর ঘটনা নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। যদি সরকার ‘নো পোর্ট্রেট’ নীতি নিয়ে থাকে, তবে সেটা প্রজ্ঞাপন আকারে জানানো উচিত ছিল।”

নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা>
রুমিন ফারহানা বলেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে কি না, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বড় ধরনের সন্দেহ আছে। যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন যে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে, তবে মানুষ তা বিশ্বাস করছে না। সংস্কার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। কিছু দল নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করতে পারে।”

তিনি জানান, জামায়াত পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করছে, অন্যদিকে এনসিপি এখনো নিবন্ধন পায়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এনসিপির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও তুলে ধরেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি>
রুমিন ফারহানা বলেন, “বাংলাদেশে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও মব ভায়োলেন্স, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা ব্যবসায়িক বিরোধে হত্যার ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো এমন পর্যায়ে আসেনি যেখানে একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠিত হতে পারে।” তিনি অভিযোগ করেন যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে দাবি করলেও ঢাকার বাইরে মব সহিংসতা চলমান। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, তত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব>
বিএনপি নেত্রী আরও বলেন, “প্রতিটি আসনে বিএনপির পাঁচ থেকে দশজন করে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। একবার প্রার্থী চূড়ান্ত হলে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।” তিনি আরও যোগ করেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটি নিয়েও বিভক্ত মতামত রয়েছে। একদল মনে করে আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে ২০১৪ এবং ২০২৪-এর মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।

সরকারের আত্মবিশ্বাসের অভাব>
রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা বারবার জোর দিয়ে বলছে, যা তাদের আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই ফ্রি, ফেয়ার, ইনক্লুসিভ এবং নিউট্রাল হওয়ার কথা। সেটি প্রমাণ করতে সরকারের কোনো অতিরিক্ত বিশেষণের দরকার নেই।”

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ছবি নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করায় মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল সরকারের।

রাষ্ট্রপতির ছবি নিয়ে ব্যস্ত সরকার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে — রুমিন ফারহানা

আপডেট সময়: ১০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, “রাষ্ট্রপতির ছবি থাকবে কি থাকবে না, সেটা নিয়ে সরকার যত ব্যস্ত, তার চেয়ে যদি বাংলাদেশের ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন ঠিক করার দিকে সরকার মনোযোগী হতো, তাহলে দেশটা এখন আরও সঠিক পথে থাকত।”

বুধবার (২০ আগস্ট) জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল পরিচালিত ‘অন্য মঞ্চ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, “গত এক বছরে রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, মানুষকে একত্রিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব সরকার পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পোর্ট্রেট সরানোর ঘটনা নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। যদি সরকার ‘নো পোর্ট্রেট’ নীতি নিয়ে থাকে, তবে সেটা প্রজ্ঞাপন আকারে জানানো উচিত ছিল।”

নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা>
রুমিন ফারহানা বলেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে কি না, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বড় ধরনের সন্দেহ আছে। যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন যে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে, তবে মানুষ তা বিশ্বাস করছে না। সংস্কার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। কিছু দল নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করতে পারে।”

তিনি জানান, জামায়াত পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করছে, অন্যদিকে এনসিপি এখনো নিবন্ধন পায়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এনসিপির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও তুলে ধরেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি>
রুমিন ফারহানা বলেন, “বাংলাদেশে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও মব ভায়োলেন্স, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা ব্যবসায়িক বিরোধে হত্যার ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো এমন পর্যায়ে আসেনি যেখানে একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠিত হতে পারে।” তিনি অভিযোগ করেন যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে দাবি করলেও ঢাকার বাইরে মব সহিংসতা চলমান। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, তত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব>
বিএনপি নেত্রী আরও বলেন, “প্রতিটি আসনে বিএনপির পাঁচ থেকে দশজন করে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। একবার প্রার্থী চূড়ান্ত হলে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।” তিনি আরও যোগ করেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটি নিয়েও বিভক্ত মতামত রয়েছে। একদল মনে করে আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে ২০১৪ এবং ২০২৪-এর মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।

সরকারের আত্মবিশ্বাসের অভাব>
রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা বারবার জোর দিয়ে বলছে, যা তাদের আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই ফ্রি, ফেয়ার, ইনক্লুসিভ এবং নিউট্রাল হওয়ার কথা। সেটি প্রমাণ করতে সরকারের কোনো অতিরিক্ত বিশেষণের দরকার নেই।”