ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরমে ঘামাচির হাত থেকে মুক্তি: ঘরোয়া উপায়েই সমাধান

শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্বকের লোমকূপ দিয়ে ঘাম বের হয়। ঘাম শুধু শরীর ঠাণ্ডা রাখে না, বরং কিছু ক্ষতিকর রেচন পদার্থও বের করে দেয়। কিন্তু অনেক সময় ঘামে থাকা লবণের কারণে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ঘাম বের হতে না পেরে ত্বকের নিচে জমে ফুলে ওঠে এবং জীবাণুর সংক্রমণে তৈরি হয় ঘামাচি।

ঘামাচি হলে ত্বকে চুলকানি, লালচে ফুসকুড়ি ও জ্বালাভাব দেখা দেয়, যা গরমের দিনে আরও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তবে চিন্তার কিছু নেই—নিয়ম মেনে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলেই ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

গরমে ঘামাচি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

১. ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল
দিনে অন্তত দুইবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে এবং লোমকূপ পরিষ্কার করে।

২. প্রাকৃতিক শীতল উপাদান ব্যবহার
ত্বকে অ্যালোভেরা জেল, চন্দন গুঁড়া বা নিমপাতার পেস্ট লাগাতে পারেন। এগুলো ত্বকের প্রদাহ কমায় ও ঠাণ্ডা অনুভূতি দেয়।

৩. ঢিলেঢালা ও সুতি পোশাক পরা
সুতি কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং ত্বকে বাতাস চলাচল রাখতে সাহায্য করে।

৪. অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্র পরিবেশ এড়িয়ে চলা
সম্ভব হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বা বাতাস চলাচলকারী স্থানে থাকুন।

৫. ত্বক পরিষ্কার রাখা
ঘাম ও ধুলো জমে যাতে লোমকূপ বন্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত শরীর পরিষ্কার রাখা, হালকা খাবার খাওয়া ও পর্যাপ্ত পানি পান করলে ঘামাচির ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

সর্বাধিক পঠিত

নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের স্যুটে বিশ্বনেতাদের সমাগম

গরমে ঘামাচির হাত থেকে মুক্তি: ঘরোয়া উপায়েই সমাধান

আপডেট সময়: ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্বকের লোমকূপ দিয়ে ঘাম বের হয়। ঘাম শুধু শরীর ঠাণ্ডা রাখে না, বরং কিছু ক্ষতিকর রেচন পদার্থও বের করে দেয়। কিন্তু অনেক সময় ঘামে থাকা লবণের কারণে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ঘাম বের হতে না পেরে ত্বকের নিচে জমে ফুলে ওঠে এবং জীবাণুর সংক্রমণে তৈরি হয় ঘামাচি।

ঘামাচি হলে ত্বকে চুলকানি, লালচে ফুসকুড়ি ও জ্বালাভাব দেখা দেয়, যা গরমের দিনে আরও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তবে চিন্তার কিছু নেই—নিয়ম মেনে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলেই ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

গরমে ঘামাচি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

১. ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল
দিনে অন্তত দুইবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে এবং লোমকূপ পরিষ্কার করে।

২. প্রাকৃতিক শীতল উপাদান ব্যবহার
ত্বকে অ্যালোভেরা জেল, চন্দন গুঁড়া বা নিমপাতার পেস্ট লাগাতে পারেন। এগুলো ত্বকের প্রদাহ কমায় ও ঠাণ্ডা অনুভূতি দেয়।

৩. ঢিলেঢালা ও সুতি পোশাক পরা
সুতি কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং ত্বকে বাতাস চলাচল রাখতে সাহায্য করে।

৪. অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্র পরিবেশ এড়িয়ে চলা
সম্ভব হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বা বাতাস চলাচলকারী স্থানে থাকুন।

৫. ত্বক পরিষ্কার রাখা
ঘাম ও ধুলো জমে যাতে লোমকূপ বন্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত শরীর পরিষ্কার রাখা, হালকা খাবার খাওয়া ও পর্যাপ্ত পানি পান করলে ঘামাচির ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।