ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশুদের ওজন ও উচ্চতা বাড়াতে যা করবেন

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুর উচ্চতা না বাড়লে বাবা মায়ের দুশ্চিন্তা বাড়ে। বিশেষ করে শিশুরা যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করে তখন অভিভাবকেরা বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় সঠিক পুষ্টির অভাবে শিশুদের ওজন ও উচ্চতা বাড়ে না। সন্তানের বাড়ন্ত ডায়েট এমন হওয়া উচিত, যাতে তার পুষ্টিগুণে কোনো ঘাটতি না তৈরি হয়। বয়স অনুপাতে শিশুর উচ্চতাও ঠিক থাকে। এজন্য বাড়ন্ত বয়সে তাদের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে।

এখন কীভাবে আপনার সন্তানকে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনবেন। তাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তারা বলছেন, প্রথমত আপনার সন্তানকে বাইরের খাবার বন্ধ করা জরুরি। বাড়িতে তৈরি রুটি, সবজি, মৌসুমি ফল খাওয়ান। সন্তানকে মাছ, মাংস, ডিমও পরিমাণমতো খাওয়াতে ভুলবেন না। কারণ ম্যাগি, চাউমিন, পাস্তা দিলেও সেটি যেন বাড়িতে বানানো হয়।

আর আপনার সন্তানের ওজন কম থাকলে আলু কিংবা মিষ্টি আলু খাওয়ান। কারণ আলু খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার ধারণা ভুল। 

পুষ্টিবিদরা বলছেন, আলু কীভাবে খাওয়াচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করছে ওজন বাড়বে না কমবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আলু সিদ্ধ দিতে পারেন। আলুসহ অন্যান্য সবজি দিয়ে তরকারি বানিয়ে খাওয়ান। সেই সঙ্গে ব্রেকফাস্টে আপনার সন্তানকে দুধ-কর্নফ্লেক্স, দুধ-ওটস দিতে পারেন। 

আর যদি ফল খেতে না চায়, ওটসের সঙ্গে ফল দিতে পারেন। অনেক শিশু আবার দুধ খেতে পছন্দ করে না। তাহলে ডালিয়ার খিচুড়ি, সবজি দিয়ে ওটস বানিয়ে নিন। একই স্বাদের খাবার শিশু খেতে না চাইলে, মুগ ডালের চিলা, চিঁড়ের পোলাও বানিয়ে দিন।

 এ ছাড়া প্রোটিনের জন্য মাছ ও ডিম খাওয়াতে পারেন আপনার সন্তানকে। তবে রেড মিট না দিয়ে মুরগির মাংসের স্যুপ খাওয়াতে পারেন। মাছেরও বিকল্প চিকেন স্যুপ; তাতে গাজর, বিনস ও পেঁপে থাকতেই হবে।

সর্বাধিক পঠিত

নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের স্যুটে বিশ্বনেতাদের সমাগম

শিশুদের ওজন ও উচ্চতা বাড়াতে যা করবেন

আপডেট সময়: ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শিশুর উচ্চতা না বাড়লে বাবা মায়ের দুশ্চিন্তা বাড়ে। বিশেষ করে শিশুরা যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করে তখন অভিভাবকেরা বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় সঠিক পুষ্টির অভাবে শিশুদের ওজন ও উচ্চতা বাড়ে না। সন্তানের বাড়ন্ত ডায়েট এমন হওয়া উচিত, যাতে তার পুষ্টিগুণে কোনো ঘাটতি না তৈরি হয়। বয়স অনুপাতে শিশুর উচ্চতাও ঠিক থাকে। এজন্য বাড়ন্ত বয়সে তাদের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে।

এখন কীভাবে আপনার সন্তানকে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনবেন। তাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তারা বলছেন, প্রথমত আপনার সন্তানকে বাইরের খাবার বন্ধ করা জরুরি। বাড়িতে তৈরি রুটি, সবজি, মৌসুমি ফল খাওয়ান। সন্তানকে মাছ, মাংস, ডিমও পরিমাণমতো খাওয়াতে ভুলবেন না। কারণ ম্যাগি, চাউমিন, পাস্তা দিলেও সেটি যেন বাড়িতে বানানো হয়।

আর আপনার সন্তানের ওজন কম থাকলে আলু কিংবা মিষ্টি আলু খাওয়ান। কারণ আলু খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার ধারণা ভুল। 

পুষ্টিবিদরা বলছেন, আলু কীভাবে খাওয়াচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করছে ওজন বাড়বে না কমবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আলু সিদ্ধ দিতে পারেন। আলুসহ অন্যান্য সবজি দিয়ে তরকারি বানিয়ে খাওয়ান। সেই সঙ্গে ব্রেকফাস্টে আপনার সন্তানকে দুধ-কর্নফ্লেক্স, দুধ-ওটস দিতে পারেন। 

আর যদি ফল খেতে না চায়, ওটসের সঙ্গে ফল দিতে পারেন। অনেক শিশু আবার দুধ খেতে পছন্দ করে না। তাহলে ডালিয়ার খিচুড়ি, সবজি দিয়ে ওটস বানিয়ে নিন। একই স্বাদের খাবার শিশু খেতে না চাইলে, মুগ ডালের চিলা, চিঁড়ের পোলাও বানিয়ে দিন।

 এ ছাড়া প্রোটিনের জন্য মাছ ও ডিম খাওয়াতে পারেন আপনার সন্তানকে। তবে রেড মিট না দিয়ে মুরগির মাংসের স্যুপ খাওয়াতে পারেন। মাছেরও বিকল্প চিকেন স্যুপ; তাতে গাজর, বিনস ও পেঁপে থাকতেই হবে।