ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ

সিদ্ধ না হাফ বয়েল কোন ডিম খেলে বেশি উপকার? পুষ্টিবিদের মতামত জেনে নিন

ডিম সিদ্ধ না হাফ বয়েল খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটে? কাঁচা ডিম কি খাওয়া উচিত? ডিমের কুসুম খেলে কি ক্ষতি হয়? এমন সব জরুরি প্রশ্নের উত্তর দিলেন পুষ্টিবিদ।

Full Boiled Vs Half Boiled Egg: সিদ্ধ না হাফ বয়েল, কেমন ধরনের ডিম খেলে মেলে বেশি উপকার? পুষ্টিবিদের মতামত জানলে আবাক হবেন

ডিম হল সস্তার খাবার। এই দামে এমন পুষ্টিকর খাবার হাজার হাতড়ালেও আর একটিও পাওয়া যাবে না। তাই তো বাজারে ডিমের এত চাহিদা। দোকান থেকে ট্রে-ট্রে ডিম নিমেষে উড়ে যায়।

ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে লিখতে বসলে, একটা গ্রন্থ রচনা হয়ে যাবে। এরপরও পুষ্টিবিজ্ঞানীর এই খাদ্যের উপকার সম্পর্কে নিয়মিত গবেষণা করে চলেছেন। আর সেই সকল গবেষণায় উঠে আসছে একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য।

ডিম

তবে দুঃখের বিষয় হল, ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েও ডিম নিয়ে আমাদের মনে নানা ভুল ধারণা রয়েছে। এই সকল ভুল ধারণা সরাসরি স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই যেমন অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না যে, ডিম সিদ্ধ না হাফ বয়েল হিসাবে খাওয়া উপকারী? এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না বলেই প্রতিনিয়ত ভুল করে চলেন। এই প্রসঙ্গে শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, ডিম অত্যন্ত উপকারী এক খাবার। তবে কী ভাবে রান্না করে খাচ্ছেন, তার উপরও এর পুষ্টিগুণ নির্ভর করে।

পুষ্টির খনি ডিম​

একটি ডিম মোটামুটি ৫০ গ্রামের হয়। এতে থাকে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন। আর এই প্রোটিন খুব সহজে দেহে গৃহীত হয়। এটা হল ফার্স্টক্লাস প্রোটিন। তাই ছোটদের নিয়মিত ডিম খেতে বলা হয়। এছাড়া ডিমে রয়েছে ওমেগা ৩, জিঙ্ক, সোডিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি। তাই যে কোনও ব্যক্তি নিত্যদিন ডিম খেতেই পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকে বলে জানালেন ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়।

​হাফ বয়েল না ফুল বয়েল ডিম?​

এই প্রশ্নের উত্তরে ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, অনেকের মনেই একটা ধারণা রয়েছে যে হাফ বয়েল ডিম খেলেই বোধহয় বেশি উপকার মেলে। যদিও বিষয়টা একদমই তেমন নয়। বরং ফুল বয়েল ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। মনে রাখবেন, অর্ধসিদ্ধ ডিমে সালমোনেল্লা নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া কিন্তু বমি-ডায়ারিয়ার মতো একাধিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন হাফ বয়েল ডিমের থেকে দূরে থাকার।

কাঁচা ডিম নৈব নৈব চ…​

অনেকে আবার এক কদম এগিয়ে গিয়ে কাঁচা ডিম খান। তাঁদের ধারণা ডিম কাঁচা খেলে বেশি শক্তি মেলে! তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলে জানালেন ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, কাঁচা ডিমে থাকে এভিডিন নামক একটি প্রোটিন। এই প্রোটিন দেহে বায়োটিনকে কাজ করতে বাঁধা দেয়। ফলে চুল ও ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই যতটা সম্ভব কাঁচা ডিম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

​৪. ডিম ভাজা, পোচ চলতে পারে​

ডিম সিদ্ধ করে খেতে পারলে সবথেকে ভালো হয়। তবে ইচ্ছে হলে ডিম ভাজা ও পোচ করেও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে নন স্টিক প্যানে কম তেলে ডিম ভেজে নিতে হবে। এমনকী এই উপায়ে পোচ বানাতে পারেন। এইভাবে ডিম খেলে তেমন একটা সমস্যা হবে না। তবে সবথেকে ভালো হয় ওয়াটার পোচ বানিয়ে নিতে পারলে। এতে তেল খাকে না। আর খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়। তাই ডিম সিদ্ধর বিকল্প হিসাবে এগুলি চলতে পারে।

৫. ডিমের কুসুম নিয়ে ‘নো টেনশন’​

অনেকেই ডিমের কুসুমের ফ্যাট নিয়ে বেশি চিন্তা করেন। তবে দিনে একটা গোটা ডিম খেলে তেমন কোনও সমস্যাই হয় না। বরং এতে শরীরে ফ্যাটের চাহিদা পূর্ণ হয়। তবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি থাকলে ডিমের কুসুম খাবেন না। নইলে যে কেউ ডিমের এই অংশ নির্দ্ধিধায় খেতে পারেন বলে জানালেন পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

সিদ্ধ না হাফ বয়েল কোন ডিম খেলে বেশি উপকার? পুষ্টিবিদের মতামত জেনে নিন

আপডেট সময়: ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ডিম সিদ্ধ না হাফ বয়েল খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটে? কাঁচা ডিম কি খাওয়া উচিত? ডিমের কুসুম খেলে কি ক্ষতি হয়? এমন সব জরুরি প্রশ্নের উত্তর দিলেন পুষ্টিবিদ।

Full Boiled Vs Half Boiled Egg: সিদ্ধ না হাফ বয়েল, কেমন ধরনের ডিম খেলে মেলে বেশি উপকার? পুষ্টিবিদের মতামত জানলে আবাক হবেন

ডিম হল সস্তার খাবার। এই দামে এমন পুষ্টিকর খাবার হাজার হাতড়ালেও আর একটিও পাওয়া যাবে না। তাই তো বাজারে ডিমের এত চাহিদা। দোকান থেকে ট্রে-ট্রে ডিম নিমেষে উড়ে যায়।

ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে লিখতে বসলে, একটা গ্রন্থ রচনা হয়ে যাবে। এরপরও পুষ্টিবিজ্ঞানীর এই খাদ্যের উপকার সম্পর্কে নিয়মিত গবেষণা করে চলেছেন। আর সেই সকল গবেষণায় উঠে আসছে একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য।

ডিম

তবে দুঃখের বিষয় হল, ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েও ডিম নিয়ে আমাদের মনে নানা ভুল ধারণা রয়েছে। এই সকল ভুল ধারণা সরাসরি স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই যেমন অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না যে, ডিম সিদ্ধ না হাফ বয়েল হিসাবে খাওয়া উপকারী? এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না বলেই প্রতিনিয়ত ভুল করে চলেন। এই প্রসঙ্গে শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, ডিম অত্যন্ত উপকারী এক খাবার। তবে কী ভাবে রান্না করে খাচ্ছেন, তার উপরও এর পুষ্টিগুণ নির্ভর করে।

পুষ্টির খনি ডিম​

একটি ডিম মোটামুটি ৫০ গ্রামের হয়। এতে থাকে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন। আর এই প্রোটিন খুব সহজে দেহে গৃহীত হয়। এটা হল ফার্স্টক্লাস প্রোটিন। তাই ছোটদের নিয়মিত ডিম খেতে বলা হয়। এছাড়া ডিমে রয়েছে ওমেগা ৩, জিঙ্ক, সোডিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি। তাই যে কোনও ব্যক্তি নিত্যদিন ডিম খেতেই পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকে বলে জানালেন ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়।

​হাফ বয়েল না ফুল বয়েল ডিম?​

এই প্রশ্নের উত্তরে ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, অনেকের মনেই একটা ধারণা রয়েছে যে হাফ বয়েল ডিম খেলেই বোধহয় বেশি উপকার মেলে। যদিও বিষয়টা একদমই তেমন নয়। বরং ফুল বয়েল ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। মনে রাখবেন, অর্ধসিদ্ধ ডিমে সালমোনেল্লা নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া কিন্তু বমি-ডায়ারিয়ার মতো একাধিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন হাফ বয়েল ডিমের থেকে দূরে থাকার।

কাঁচা ডিম নৈব নৈব চ…​

অনেকে আবার এক কদম এগিয়ে গিয়ে কাঁচা ডিম খান। তাঁদের ধারণা ডিম কাঁচা খেলে বেশি শক্তি মেলে! তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলে জানালেন ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, কাঁচা ডিমে থাকে এভিডিন নামক একটি প্রোটিন। এই প্রোটিন দেহে বায়োটিনকে কাজ করতে বাঁধা দেয়। ফলে চুল ও ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই যতটা সম্ভব কাঁচা ডিম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

​৪. ডিম ভাজা, পোচ চলতে পারে​

ডিম সিদ্ধ করে খেতে পারলে সবথেকে ভালো হয়। তবে ইচ্ছে হলে ডিম ভাজা ও পোচ করেও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে নন স্টিক প্যানে কম তেলে ডিম ভেজে নিতে হবে। এমনকী এই উপায়ে পোচ বানাতে পারেন। এইভাবে ডিম খেলে তেমন একটা সমস্যা হবে না। তবে সবথেকে ভালো হয় ওয়াটার পোচ বানিয়ে নিতে পারলে। এতে তেল খাকে না। আর খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়। তাই ডিম সিদ্ধর বিকল্প হিসাবে এগুলি চলতে পারে।

৫. ডিমের কুসুম নিয়ে ‘নো টেনশন’​

অনেকেই ডিমের কুসুমের ফ্যাট নিয়ে বেশি চিন্তা করেন। তবে দিনে একটা গোটা ডিম খেলে তেমন কোনও সমস্যাই হয় না। বরং এতে শরীরে ফ্যাটের চাহিদা পূর্ণ হয়। তবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি থাকলে ডিমের কুসুম খাবেন না। নইলে যে কেউ ডিমের এই অংশ নির্দ্ধিধায় খেতে পারেন বলে জানালেন পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।