
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৯ জন শিক্ষার্থী সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের চলমান অনশন কর্মসূচির ৫০ ঘণ্টা পেরিয়েছে। ইতোমধ্যে তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্য ছয়জনও স্যালাইন নেওয়ার পাশাপাশি অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন—বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের রাম্রা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের মুগ্ধ ও নাইম শাহ জান, বাংলা বিভাগের ধ্রুব বড়ুয়া, মার্কেটিং বিভাগের সুমাইয়া শিকদার, সংগীত বিভাগের ঈশা দে এবং বাংলা বিভাগের সুদর্শন চাকমা।
গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ের সামনে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থী’ ব্যানারে নয়জন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙতে এবং আগামী রোববার আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাদের অভিযোগ, এর আগে একই দাবিতে কর্মসূচি দিলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি:
১. সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা প্রদান।
২. অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য অবিলম্বে মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসনের ব্যবস্থা ও আবাসনচ্যুত শিক্ষার্থীদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ।
৩. চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪. সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার ও নিরপরাধ এলাকাবাসীর হয়রানি বন্ধ।
৫. দ্বন্দ্ব নিরসনে উভয়পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে সমন্বয় কমিটি গঠন ও প্রতি তিন মাসে নিয়মিত মিটিং।
৬. সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন।
৭. শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে প্রক্টরিয়াল বডির প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও পদত্যাগ।