ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ

সভ্য সমাজে মিথ্যার ভয়াবহতা: ইসলাম কী বলেছে?

সভ্য সমাজে মিথ্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলাম মিথ্যা বলা ও মিথ্যার মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করার কঠোর নিন্দা করেছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে মিথ্যার ভয়াবহ পরিণতি এবং এর জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। সবচেয়ে গুরুতর মিথ্যা হলো আল্লাহ, রাসূল ﷺ বা ধর্মের নামে মিথ্যা বলা।

মিথ্যা মানুষের হৃদয়ে কপটতা সৃষ্টি করে, জান্নাত থেকে দূরে সরিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়, সাক্ষ্য ও বর্ণনার গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করে এবং চেহারায় মলিনতা আনে। এমনকি কৌতুক বা শিশুদের সাথে মিথ্যা বলাও ইসলামে গুনাহ হিসেবে বিবেচিত।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন—

“এবং তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত যারা মিথ্যাবাদী।” (আলে ইমরান: ৬১)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন—

“যে ব্যক্তি মিথ্যা বর্জন করে, মশকরা বা কৌতুক করতেও মিথ্যা বলে না, তার জন্য জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ির জন্য আমি দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।” (আবু দাউদ)

শিশুদের সাথে মিথ্যা বলাও গুনাহ। একবার এক সাহাবির মা তাকে খেজুর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, এ সময় নবী ﷺ বলেন—

“তুমি যদি তাকে কিছু না দিতে, তবে তোমার নামে একটি মিথ্যার গুনাহ লেখা হতো।” (আবু দাউদ)

মিথ্যার ভয়াবহ প্রভাব:

অন্তরে কপটতা সৃষ্টি হয় – (সুরা তওবা: ৭৭)

জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায় – (বুখারি ৫৭৪৩; মুসলিম ২৬০৭)

সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয় – (আলামুল মুয়াক্কিঈন ১/৯৫)

চেহারা কালো হয়ে যায় – (সুরা জুমার: ৬০)

প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ শায়খ সানআনি বলেন—

“বান্দা সত্য বললে সত্যবাদিতা তার আলামত হয়ে যায়, আর মিথ্যা বললে মিথ্যা বলা তার অভ্যাসে পরিণত হয়।” (সুবুলুস সালাম ২/৬৮৭)

ইসলাম সত্যবাদিতাকে মর্যাদা ও জান্নাতের পথ হিসেবে দেখিয়েছে এবং মিথ্যাকে জাহান্নামের পথ হিসেবে সতর্ক করেছে।

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

সভ্য সমাজে মিথ্যার ভয়াবহতা: ইসলাম কী বলেছে?

আপডেট সময়: ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

সভ্য সমাজে মিথ্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলাম মিথ্যা বলা ও মিথ্যার মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করার কঠোর নিন্দা করেছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে মিথ্যার ভয়াবহ পরিণতি এবং এর জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। সবচেয়ে গুরুতর মিথ্যা হলো আল্লাহ, রাসূল ﷺ বা ধর্মের নামে মিথ্যা বলা।

মিথ্যা মানুষের হৃদয়ে কপটতা সৃষ্টি করে, জান্নাত থেকে দূরে সরিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়, সাক্ষ্য ও বর্ণনার গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করে এবং চেহারায় মলিনতা আনে। এমনকি কৌতুক বা শিশুদের সাথে মিথ্যা বলাও ইসলামে গুনাহ হিসেবে বিবেচিত।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন—

“এবং তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত যারা মিথ্যাবাদী।” (আলে ইমরান: ৬১)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন—

“যে ব্যক্তি মিথ্যা বর্জন করে, মশকরা বা কৌতুক করতেও মিথ্যা বলে না, তার জন্য জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ির জন্য আমি দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।” (আবু দাউদ)

শিশুদের সাথে মিথ্যা বলাও গুনাহ। একবার এক সাহাবির মা তাকে খেজুর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, এ সময় নবী ﷺ বলেন—

“তুমি যদি তাকে কিছু না দিতে, তবে তোমার নামে একটি মিথ্যার গুনাহ লেখা হতো।” (আবু দাউদ)

মিথ্যার ভয়াবহ প্রভাব:

অন্তরে কপটতা সৃষ্টি হয় – (সুরা তওবা: ৭৭)

জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায় – (বুখারি ৫৭৪৩; মুসলিম ২৬০৭)

সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয় – (আলামুল মুয়াক্কিঈন ১/৯৫)

চেহারা কালো হয়ে যায় – (সুরা জুমার: ৬০)

প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ শায়খ সানআনি বলেন—

“বান্দা সত্য বললে সত্যবাদিতা তার আলামত হয়ে যায়, আর মিথ্যা বললে মিথ্যা বলা তার অভ্যাসে পরিণত হয়।” (সুবুলুস সালাম ২/৬৮৭)

ইসলাম সত্যবাদিতাকে মর্যাদা ও জান্নাতের পথ হিসেবে দেখিয়েছে এবং মিথ্যাকে জাহান্নামের পথ হিসেবে সতর্ক করেছে।