ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ

শিশুর মনোবল বাড়াবেন কীভাবে?

প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। সামনে আসা কঠিন চ্যালেঞ্জ সন্তানরা কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় ভিত্তিতে শিশুদের মনোবল বাড়াতে পিতামাতা, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের জন্য বেশ কিছু কার্যকরী কৌশল জানিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

শিশুদের মনোবল বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বা কী কী অন্তরায় রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করতে বিভিন্ন বয়সী শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা বিবেচনা নেওয়া হয়েছে গবেষণায়। সমস্যা সমাধানে তারা কী ভাবছে, কতোটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারছে বা তাদের মধ্যে এই সমস্যা নিয়ে কী মনোভাব কাজ করছে গবেষণায় সেসব বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে যে, শিশুর মনোবল বাড়াতে তার পরিবার ও পিতামাতার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভূমিকাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের যত্ন বা বিকাশ ত্বরান্বিত করা মানে শুধু তাদের স্বাস্থ্যের বা শিক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়া নয় বরং তাদেরকে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলাও। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে শিশুদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো-

সব সময় সব কঠিন বা প্রতিকূল অবস্থা থেকে শিশুদের দূরে রাখা থেকে বিরত থাকুন। পরিবারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোথাও কোনো সমস্যা হলে শিশুদের কিছু কিছু সময়ে সেগুলো মোকাবিলার সুযোগ দিন। দেখুন তারা সেগুলো সফলভাবে সমাধান করতে পারে কি-না। এর ফলে তাদের মাঝে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বা প্রতিকূল পরিবেশে মনোবল ধরে  রাখার সাহস সৃষ্টি হবে।

শিশুরা স্বভাবতই বিভিন্ন গল্প শুনতে আগ্রহী হয় এবং সেই গল্পের নায়ক বা হিরোদের মতো করে নিজেদেরকে কল্পনা করে। তাই তাদের সামনে যদি অভিভাবক বা শিক্ষকেরা নিজেদের জীবনের সাহসী হয়ে ওঠার গল্পগুলো যেগুলো শিশুদেরকেও ঝুঁকি মোকাবেলায় উৎসাহিত করতে পারে সেগুলো উপস্থাপন করে তাহলে শিশুরা সাহসী হয়ে ওঠার উৎসাহ পাবে। তারা ঝুঁকি নিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

বড় সমস্যাগুলো শিশুদের ছোট ছোট ধাপে সমাধান করতে সহায়তা করুন। এই ছোট ছোট ধাপগুলো তাদের মনোবল বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করবে।

ছোট কিংবা বড় যেকোনো সাফল্যে শিশুদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করুন। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, প্রশংসা উৎসাহ বৃদ্ধির প্রথম সোপান। অর্থাৎ যখন শিশুরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎসাহিত হবে তখন তারা আরও বড় চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস ও বিপদ মোকাবিলা করার মনোবল পাবে।

পিতামাতা বা অভিভাবক কিংবা শিক্ষকেরা সব সময়ই কোমলমতি শিশুদের সব ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। এতে করে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। শিশুদের মাঝে যদি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার মনোবল না থাকে তাহলে কখনোই তারা জীবনে সফল হতে পারবে না। তাই শিশুদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহ দেওয়া উচিত। যাতে তারা বিপদে ভয় নয় বরং সাহসের সঙ্গে বিপদ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

শিশুর মনোবল বাড়াবেন কীভাবে?

আপডেট সময়: ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। সামনে আসা কঠিন চ্যালেঞ্জ সন্তানরা কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় ভিত্তিতে শিশুদের মনোবল বাড়াতে পিতামাতা, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের জন্য বেশ কিছু কার্যকরী কৌশল জানিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

শিশুদের মনোবল বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বা কী কী অন্তরায় রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করতে বিভিন্ন বয়সী শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা বিবেচনা নেওয়া হয়েছে গবেষণায়। সমস্যা সমাধানে তারা কী ভাবছে, কতোটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারছে বা তাদের মধ্যে এই সমস্যা নিয়ে কী মনোভাব কাজ করছে গবেষণায় সেসব বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে যে, শিশুর মনোবল বাড়াতে তার পরিবার ও পিতামাতার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভূমিকাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের যত্ন বা বিকাশ ত্বরান্বিত করা মানে শুধু তাদের স্বাস্থ্যের বা শিক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়া নয় বরং তাদেরকে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলাও। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে শিশুদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো-

সব সময় সব কঠিন বা প্রতিকূল অবস্থা থেকে শিশুদের দূরে রাখা থেকে বিরত থাকুন। পরিবারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোথাও কোনো সমস্যা হলে শিশুদের কিছু কিছু সময়ে সেগুলো মোকাবিলার সুযোগ দিন। দেখুন তারা সেগুলো সফলভাবে সমাধান করতে পারে কি-না। এর ফলে তাদের মাঝে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বা প্রতিকূল পরিবেশে মনোবল ধরে  রাখার সাহস সৃষ্টি হবে।

শিশুরা স্বভাবতই বিভিন্ন গল্প শুনতে আগ্রহী হয় এবং সেই গল্পের নায়ক বা হিরোদের মতো করে নিজেদেরকে কল্পনা করে। তাই তাদের সামনে যদি অভিভাবক বা শিক্ষকেরা নিজেদের জীবনের সাহসী হয়ে ওঠার গল্পগুলো যেগুলো শিশুদেরকেও ঝুঁকি মোকাবেলায় উৎসাহিত করতে পারে সেগুলো উপস্থাপন করে তাহলে শিশুরা সাহসী হয়ে ওঠার উৎসাহ পাবে। তারা ঝুঁকি নিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

বড় সমস্যাগুলো শিশুদের ছোট ছোট ধাপে সমাধান করতে সহায়তা করুন। এই ছোট ছোট ধাপগুলো তাদের মনোবল বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করবে।

ছোট কিংবা বড় যেকোনো সাফল্যে শিশুদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করুন। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, প্রশংসা উৎসাহ বৃদ্ধির প্রথম সোপান। অর্থাৎ যখন শিশুরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎসাহিত হবে তখন তারা আরও বড় চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস ও বিপদ মোকাবিলা করার মনোবল পাবে।

পিতামাতা বা অভিভাবক কিংবা শিক্ষকেরা সব সময়ই কোমলমতি শিশুদের সব ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। এতে করে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। শিশুদের মাঝে যদি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার মনোবল না থাকে তাহলে কখনোই তারা জীবনে সফল হতে পারবে না। তাই শিশুদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহ দেওয়া উচিত। যাতে তারা বিপদে ভয় নয় বরং সাহসের সঙ্গে বিপদ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।