ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ
শিশুর ঘুমের ধরন ও সময় বড়দের থেকে আলাদা। তাই সন্তানের সুস্থ বিকাশে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া জরুরি।

শিশুর ঘুমের সমস্যা ও সমাধান: বয়সভেদে কতটা ঘুম প্রয়োজন?

সন্তানের ঘুম নিয়ে প্রায় সব মা-বাবার দুশ্চিন্তা থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুমের চাহিদা বয়সভেদে আলাদা। শিশুর বয়স অনুযায়ী কতটা ঘুম দরকার এবং ঘুমের সমস্যা হলে কী করণীয়—জেনে নিন বিস্তারিত।

কতটা ঘুম প্রয়োজন?>

নবজাতক (প্রথম মাস): দৈনিক ১৫–১৬ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে তারা একটানা দীর্ঘ সময় ঘুমায় না, কারণ ঘন ঘন খিদে লাগে।

১ থেকে ৪ মাস বয়সী শিশু: দৈনিক ১৪–১৫ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এ সময় ধীরে ধীরে দিন-রাতের রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করে।

৪ মাস থেকে ১ বছর বয়সী শিশু: দিনে-রাতে মিলিয়ে ১২–১৩ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। এ সময়ে ঘুম শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


ঘুমের সমস্যা কেন হয়?>

ঘরে বেশি আলো বা টেলিভিশন চালু থাকলে ঘুম ভাঙে।

দোলনায় ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে বিছানায় শোয়ালেই জেগে যায়।

ভেজা বা আঁটসাঁট ডায়াপার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।

অসুস্থতা, দিনে বেশি ঘুমানো বা অতিরিক্ত মোবাইল/টিভি দেখাও ঘুম নষ্ট করে।

কিছু শিশু কোলে বা কাঁধে ঘুমায়—বিছানায় শোয়ালে ঘুম ভেঙে যায়।


শিশুর ঘুম ঠিক রাখতে করণীয়>

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের রুটিন তৈরি করতে হবে।

শোবার ঘর অল্প অন্ধকার রাখা ও ঘুমের আগে আলো কমানো জরুরি।

গরমকালে ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিলে আরাম পায়।

শীতে হালকা ভারী কাপড় পরানো যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত নয়।

দিনের বেলায় খেলাধুলার অভ্যাস করাতে হবে—তাহলে রাতে সহজে ঘুমাবে।

শিশুকে কখনোই উপুড় করে শোয়ানো যাবে না। পাতলা বালিশ সবচেয়ে নিরাপদ।

যদি নিয়মিত ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় বা ইনসমিয়া থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

শিশুর ঘুমের ধরন ও সময় বড়দের থেকে আলাদা। তাই সন্তানের সুস্থ বিকাশে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া জরুরি।

শিশুর ঘুমের সমস্যা ও সমাধান: বয়সভেদে কতটা ঘুম প্রয়োজন?

আপডেট সময়: ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সন্তানের ঘুম নিয়ে প্রায় সব মা-বাবার দুশ্চিন্তা থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুমের চাহিদা বয়সভেদে আলাদা। শিশুর বয়স অনুযায়ী কতটা ঘুম দরকার এবং ঘুমের সমস্যা হলে কী করণীয়—জেনে নিন বিস্তারিত।

কতটা ঘুম প্রয়োজন?>

নবজাতক (প্রথম মাস): দৈনিক ১৫–১৬ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে তারা একটানা দীর্ঘ সময় ঘুমায় না, কারণ ঘন ঘন খিদে লাগে।

১ থেকে ৪ মাস বয়সী শিশু: দৈনিক ১৪–১৫ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এ সময় ধীরে ধীরে দিন-রাতের রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করে।

৪ মাস থেকে ১ বছর বয়সী শিশু: দিনে-রাতে মিলিয়ে ১২–১৩ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। এ সময়ে ঘুম শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


ঘুমের সমস্যা কেন হয়?>

ঘরে বেশি আলো বা টেলিভিশন চালু থাকলে ঘুম ভাঙে।

দোলনায় ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে বিছানায় শোয়ালেই জেগে যায়।

ভেজা বা আঁটসাঁট ডায়াপার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।

অসুস্থতা, দিনে বেশি ঘুমানো বা অতিরিক্ত মোবাইল/টিভি দেখাও ঘুম নষ্ট করে।

কিছু শিশু কোলে বা কাঁধে ঘুমায়—বিছানায় শোয়ালে ঘুম ভেঙে যায়।


শিশুর ঘুম ঠিক রাখতে করণীয়>

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের রুটিন তৈরি করতে হবে।

শোবার ঘর অল্প অন্ধকার রাখা ও ঘুমের আগে আলো কমানো জরুরি।

গরমকালে ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিলে আরাম পায়।

শীতে হালকা ভারী কাপড় পরানো যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত নয়।

দিনের বেলায় খেলাধুলার অভ্যাস করাতে হবে—তাহলে রাতে সহজে ঘুমাবে।

শিশুকে কখনোই উপুড় করে শোয়ানো যাবে না। পাতলা বালিশ সবচেয়ে নিরাপদ।

যদি নিয়মিত ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় বা ইনসমিয়া থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।