
আজ ২২ শ্রাবণ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস। আধুনিক বাঙালির রুচি, চেতনা ও সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়া এই মহাপ্রাণের সৃষ্টির আলো আজও সমান দীপ্ত।
আধুনিক বাঙালির রুচি ও চেতনার স্থপতি ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। একক প্রতিভায় বাংলা সাহিত্যকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদার আসনে। কবিতা, গান, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি—শিল্প-সাহিত্যের প্রতিটি শাখা তার সৃষ্টিতে দীপ্তিমান হয়ে উঠেছে। জীবনের শেষ পর্যায়ে চিত্রকলায়ও তিনি রেখেছেন অনন্য স্বাক্ষর।
রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ঋতু ছিল বর্ষা। অসংখ্য রচনায় তিনি বাংলার বর্ষাকে ফুটিয়ে তুলেছেন অনিন্দ্যসৌন্দর্যে। আজ ২২ শ্রাবণ, বুধবার—তার ৮৪তম প্রয়াণ দিবস। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই বর্ষাতেই চিরবিদায় নেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের আধুনিকায়নের পথিকৃৎ রবিঠাকুর ছোটগল্পের জনকও বটে। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গান, দার্শনিক প্রবন্ধ—সবক্ষেত্রেই তিনি চির নবীন, চির অমর। আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা এবং ‘বাংলাদেশ’ নামের বানানপ্রবর্তকও তিনি।
বিশ্বসাহিত্যে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন ‘গীতাঞ্জলি’-র মাধ্যমে, যার জন্য ১৯১৩ সালে তিনি প্রথম এশীয় হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। শিক্ষাবিস্তার ও সমাজসংস্কারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজনে রাজধানী মুখর।, ছায়ানট: সন্ধ্যা ৭টায় ‘ছায়ানটের নিবেদন’।
চ্যানেল আই: বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দিনব্যাপী ‘সরাসরি রবীন্দ্রনাথ’—সাহিত্য আলোচনা, গান, কবিতা, টেলিফিল্মসহ নানা পরিবেশনা।