
সব দেশেই সবজি হিসেবে বেগুন দারুণ জনপ্রিয়। ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই সবজি সাধারণত খাদ্যতালিকায় একটি স্বাস্থ্যকর সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বেগুন খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
🔹 অ্যালার্জি বা নাইটশেড সংবেদনশীলতা:
যারা নাইটশেড জাতীয় সবজির প্রতি সংবেদনশীল, তাদের জন্য বেগুনে থাকা কিছু যৌগ অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। যেমন—ত্বকের জ্বালা, মাথাব্যথা, হজমের সমস্যা বা প্রদাহ। গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যালার্জির ফ্লেয়ার-আপও হতে পারে।
🔹 কিডনির সমস্যা:
বেগুনে থাকে অক্সালেট নামক এক ধরনের যৌগ, যা কিডনিতে পাথর তৈরি বা সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই যাদের কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি আছে বা আগে থেকেই কিডনির জটিলতা রয়েছে, তাদের বেগুন খাওয়া এড়ানো উচিৎ।
🔹 হজমের অসুবিধা:
বেগুনে প্রচুর ফাইবার থাকলেও ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS), প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগ বা সংবেদনশীল পাচনতন্ত্র থাকলে বেগুন খাওয়া উল্টো সমস্যার কারণ হতে পারে। এতে পেট ফাঁপা, অস্বস্তি বা পাতলা মল দেখা দিতে পারে।
🔹 রক্তস্বল্পতা বা আয়রনের ঘাটতি:
বেগুনের খোসায় থাকা নাসুনিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরের আয়রন শোষণ কমাতে পারে। তাই যাদের রক্তস্বল্পতা আছে তাদের বেগুন খাওয়া সীমিত রাখা উচিত।
✅ অর্থাৎ, সাধারণ সুস্থ ব্যক্তিদের জন্য বেগুন উপকারী হলেও অ্যালার্জি, কিডনি সমস্যা, হজমের জটিলতা ও রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা জরুরি।