
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালেও অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রাতভর গণনার পর সকালে আবারও কাজ শুরু হয়েছে।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক একে এম রাশিদুল আলম বৃহস্পতিবার রাতে জানান, শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। তবে সারিতে থাকা শিক্ষার্থীরা পরে ভোট দিতে পেরেছেন। ভোট শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল থেকে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে আনা হয় এবং রাত সোয়া ১০টার দিকে গণনা শুরু হয়।
এদিকে, নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে আরও চারটি প্যানেল—‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেল ভোট বর্জন করেছে। বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নির্বাচন বর্জন করেন। প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেল পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন ১৭৭ প্রার্থী। বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে মোট আটটি প্যানেল অংশ নেয় এবারের জাকসু নির্বাচনে।