ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ

কোরবানির পর হজমশক্তি বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন

কোরবানির ঈদ মানেই গোশত আর ভারী খাবারের আয়োজন। এ সময়ে সুস্বাদু নানা খাবার উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব হলেও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার পর বদহজম, পেট ফাঁপা বা অস্বস্তির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা অনেক সময় আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অনেকেই দ্রুত আরাম পেতে ওষুধের আশ্রয় নেন, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ঈদের সময় পেটের যত্ন নিতে কিছু প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য খাবারের ওপর নির্ভর করাই ভালো। হজমশক্তি বাড়াতে যেসব খাবার উপকারী, সেগুলোর কিছু নিচে তুলে ধরা হলো—

দই
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি পরিপাকতন্ত্রে বাস করে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। নিয়মিত দই খেলে অন্ত্রের স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য বজায় থাকে এবং খাবার সহজে হজম হয়।

ডিম
লুচি, পরোটা কিংবা পাউরুটির মতো ভারী খাবারের বদলে প্রোটিনসমৃদ্ধ ডিম খাওয়া হজমের জন্য তুলনামূলক ভালো। বেশি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের চেয়ে ডিম হজমে সহজ এবং পেটেও স্বস্তি দেয়।

মৌরি
মৌরি শুধু স্বাদ বাড়ায় না, বরং এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে থাকা অ্যান্টিস্পাসমোডিক উপাদান পেটের মসৃণ পেশিকে শিথিল করে, যার ফলে গ্যাস, ফোলাভাব ও পেটব্যথার মতো সমস্যা হ্রাস পায়।

চিয়া বীজ
চিয়া বীজে উচ্চ মাত্রার ফাইবার থাকে, যা পেটে গিয়ে জেল জাতীয় পদার্থ তৈরি করে। এটি প্রিবায়োটিকের মতো কাজ করে এবং অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। চিয়া বীজ মলকে নরম করে ও পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে।

পেঁপে
পেঁপেতে পাপাইন নামক একটি হজম সহায়ক এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা কমায়। অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও পেঁপের এনজাইম ব্যবহার করা হয়।

গোটা শস্য
ওটস, কুইনো, ফারো বা গমজাত গোটা শস্যে থাকে প্রচুর ফাইবার, যা অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে।

বিটরুট
বিট একটি ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার, যা অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এটি সালাদ, স্মুদি বা আচার হিসেবে খাওয়া যায় এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।

আদা
আদা প্রাচীনকাল থেকেই হজমের জন্য কার্যকর হিসেবে পরিচিত। এটি পেট থেকে খাবার দ্রুত অন্ত্রে স্থানান্তরে সাহায্য করে। ফলে বমি ভাব, অম্বল ও পেটে অস্বস্তির সমস্যা কমে যায়।

সবুজ শাকসবজি
শাকসবজিতে থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এগুলো অন্ত্রের পেশির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং পরিপাকতন্ত্রের গতিশীলতা উন্নত করে।

স্যালমন মাছ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ স্যালমন মাছ শরীরের প্রদাহ কমিয়ে হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে ভূমিকা রাখে।

ঈদের সময়ে ভারী খাবারের সঙ্গে এই উপাদানগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে হজম সহজ হবে এবং পেট থাকবে সুস্থ। ঔষধ নয়, প্রকৃতির কাছ থেকেই নিন হজমের সমাধান।

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

কোরবানির পর হজমশক্তি বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন

আপডেট সময়: ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

কোরবানির ঈদ মানেই গোশত আর ভারী খাবারের আয়োজন। এ সময়ে সুস্বাদু নানা খাবার উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব হলেও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার পর বদহজম, পেট ফাঁপা বা অস্বস্তির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা অনেক সময় আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অনেকেই দ্রুত আরাম পেতে ওষুধের আশ্রয় নেন, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ঈদের সময় পেটের যত্ন নিতে কিছু প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য খাবারের ওপর নির্ভর করাই ভালো। হজমশক্তি বাড়াতে যেসব খাবার উপকারী, সেগুলোর কিছু নিচে তুলে ধরা হলো—

দই
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি পরিপাকতন্ত্রে বাস করে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। নিয়মিত দই খেলে অন্ত্রের স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য বজায় থাকে এবং খাবার সহজে হজম হয়।

ডিম
লুচি, পরোটা কিংবা পাউরুটির মতো ভারী খাবারের বদলে প্রোটিনসমৃদ্ধ ডিম খাওয়া হজমের জন্য তুলনামূলক ভালো। বেশি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের চেয়ে ডিম হজমে সহজ এবং পেটেও স্বস্তি দেয়।

মৌরি
মৌরি শুধু স্বাদ বাড়ায় না, বরং এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে থাকা অ্যান্টিস্পাসমোডিক উপাদান পেটের মসৃণ পেশিকে শিথিল করে, যার ফলে গ্যাস, ফোলাভাব ও পেটব্যথার মতো সমস্যা হ্রাস পায়।

চিয়া বীজ
চিয়া বীজে উচ্চ মাত্রার ফাইবার থাকে, যা পেটে গিয়ে জেল জাতীয় পদার্থ তৈরি করে। এটি প্রিবায়োটিকের মতো কাজ করে এবং অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। চিয়া বীজ মলকে নরম করে ও পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে।

পেঁপে
পেঁপেতে পাপাইন নামক একটি হজম সহায়ক এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা কমায়। অনেক সময় হজমের পরিপূরক হিসেবেও পেঁপের এনজাইম ব্যবহার করা হয়।

গোটা শস্য
ওটস, কুইনো, ফারো বা গমজাত গোটা শস্যে থাকে প্রচুর ফাইবার, যা অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে।

বিটরুট
বিট একটি ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার, যা অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এটি সালাদ, স্মুদি বা আচার হিসেবে খাওয়া যায় এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।

আদা
আদা প্রাচীনকাল থেকেই হজমের জন্য কার্যকর হিসেবে পরিচিত। এটি পেট থেকে খাবার দ্রুত অন্ত্রে স্থানান্তরে সাহায্য করে। ফলে বমি ভাব, অম্বল ও পেটে অস্বস্তির সমস্যা কমে যায়।

সবুজ শাকসবজি
শাকসবজিতে থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এগুলো অন্ত্রের পেশির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং পরিপাকতন্ত্রের গতিশীলতা উন্নত করে।

স্যালমন মাছ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ স্যালমন মাছ শরীরের প্রদাহ কমিয়ে হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে ভূমিকা রাখে।

ঈদের সময়ে ভারী খাবারের সঙ্গে এই উপাদানগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে হজম সহজ হবে এবং পেট থাকবে সুস্থ। ঔষধ নয়, প্রকৃতির কাছ থেকেই নিন হজমের সমাধান।