
স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার পর নিউইয়র্কের জন এফ. কেনেডি (JFK) বিমানবন্দরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে দলের সদস্যদের ওপর ডিম নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলার সময় হামলাকারীরা ‘জুলাই সন্ত্রাসী’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং নগ্ন গালাগালিও করেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু শিক্ষাবৃত্তিক ব্যক্তিত্ব। একই সঙ্গে এনসিপির এক নেতা ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার রাত আনুমানিক ১:৩০ মিনিটে জন এফ. কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে কিছু ব্যক্তি ডিম ছোড়েন এবং গালিগালাজ শুরু করেন। ঘটনায় আখতার হোসেন আহত হননি; তবে দলের সদস্য ও সমর্থকরা এ ঘটনা নিয়ে হতবাক ও ক্ষুব্ধ।
এনসিপির শীর্ষনেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং ভেবে দেখার মতো দাবি তুলেছেন যে রাজনৈতিক সহিংসতা ও হিংসাত্মক আচরণ কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়।
এনসিপির প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই ঘটানাকে “অনাকাঙ্ক্ষিত” বলে মন্তব্য করেছেন এবং পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিবও ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা সারজিস আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন (২৩ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১০টায়): “এই পা চাটা দালাল এবং জনতার ভয়ে জান নিয়ে পালিয়ে যাওয়া তাদের মা হাসিনা- হাজারের অধিক খুনের নির্দেশ দাতা। বিগত ১৭ বছরে এই দেশে গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, লুটপাট, ধর্ষণ থেকে শুরু করে এমন কোনো ঘৃণিত কাজ ও অন্যায় নেই, যা তারা করেনি”। সারজিস আরও বলেছেন, “এই অসভ্য জানোয়ারদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই… এরা এদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য অভিশাপ।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “এই নরপশুদের আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। যারা অর্থসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে এই শয়তানদের আশ্রয় দিয়েছেন … তারা সাবধান হয়ে যান। সুযোগ পেলে এই কালো সাপগুলো আপনাদেরকেই ছোবল মারবে।”
বৈদেশিক মঞ্চে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর এই ধরনের আচরণ কূটনৈতিক ও সুরক্ষা-সংক্রান্ত উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এধরনের ঘটনা রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায় এবং বিদেশে বসবাসরত দলের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ও সম্মানহানির প্রশ্ন তোলে। এনসিপি ও বন্দোবস্ত সংক্রান্ত পক্ষগুলোর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নজরদারি হওয়া উচিত।