ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। সাধারণত তিন মাস অন্তর দানবাক্স খোলা হলেও এবার চার মাস ১৭ দিন পর শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৩টি দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। প্রায় ৫০০ জনের একটি টিম টাকা গণনায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন—কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০০ কর্মকর্তা, জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২২০ জন ছাত্র, নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২০ জন ছাত্র, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্য।

পাগলা মসজিদের ইতিহাস>
জনশ্রুতি আছে, একসময় বীর ঈসা খাঁর বংশধর জিলকদর খাঁ নামের এক সাধক এই স্থানে বসবাস করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর উপাসনালয়টিকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। এরপর থেকেই মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ মানত নিয়ে এ মসজিদে আসেন।

এ মসজিদে প্রতি জুমার দিনে হাজারো মানুষের ঢল নামে। মানত পূরণের আশায় মানুষ এখানে নগদ টাকা-পয়সা, সোনা-রূপার অলংকার, এমনকি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিও দান করে থাকেন। প্রায় আড়াইশ বছরেরও বেশি পুরনো এই মসজিদ এখন দেশের অন্যতম দানবহুল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

সর্বাধিক পঠিত

নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের স্যুটে বিশ্বনেতাদের সমাগম

কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা

আপডেট সময়: ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। সাধারণত তিন মাস অন্তর দানবাক্স খোলা হলেও এবার চার মাস ১৭ দিন পর শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৩টি দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। প্রায় ৫০০ জনের একটি টিম টাকা গণনায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন—কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০০ কর্মকর্তা, জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২২০ জন ছাত্র, নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২০ জন ছাত্র, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্য।

পাগলা মসজিদের ইতিহাস>
জনশ্রুতি আছে, একসময় বীর ঈসা খাঁর বংশধর জিলকদর খাঁ নামের এক সাধক এই স্থানে বসবাস করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর উপাসনালয়টিকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। এরপর থেকেই মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ মানত নিয়ে এ মসজিদে আসেন।

এ মসজিদে প্রতি জুমার দিনে হাজারো মানুষের ঢল নামে। মানত পূরণের আশায় মানুষ এখানে নগদ টাকা-পয়সা, সোনা-রূপার অলংকার, এমনকি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিও দান করে থাকেন। প্রায় আড়াইশ বছরেরও বেশি পুরনো এই মসজিদ এখন দেশের অন্যতম দানবহুল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।