ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করলেন ৬০ ছাত্রনেতা, নতুন ঘোষণাপত্রের দাবি

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৬০ জন ছাত্রনেতা রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে জুলাই ঘোষণাপত্রকে “প্রতারণামূলক ও প্রহসন” উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা জনগণের সত্যিকারের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করে নতুন ঘোষণাপত্র প্রণয়ন এবং গণবান্ধব সংবিধান তৈরির দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও শেখ হাসিনার স্বৈরাচার থেকে মুক্ত করলেও পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় পুরোনো শোষণমূলক আমলাতন্ত্র ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা প্রভাব বিস্তার করে। এর ফলে পুরোনো সংবিধান, পুলিশ, আদালত ও প্রশাসনিক কাঠামো বহাল থাকে এবং গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হয়।

ছাত্রনেতাদের অভিযোগ, পুরোনো ব্যবস্থার অংশীদারেরা (আমলাতন্ত্র, লুটেরা শক্তি, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ) নানা প্রলোভন ও নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ছাত্র নেতৃত্বকে দুর্বল করে তোলে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবী, কৃষক, বেকার যুবক, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়নে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন সংবিধান ও গণবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলনও শক্তিশালী হয়নি।

তারা দাবি করেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের নামে জনগণের আসল আকাঙ্ক্ষা বাদ দিয়ে ভাসাভাসা স্বীকৃতি ও প্রতিশ্রুতি সম্বলিত একটি ‘অর্থহীন’ ডকুমেন্ট ৫ আগস্ট প্রকাশ করা হয়েছে, যা পুরোনো ব্যবস্থার জন্য কোনো হুমকি নয়।

ছাত্রনেতারা দৃঢ়ভাবে বলেন—হাজারো শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না; সত্যিকারের গণবান্ধব ও জনকল্যাণমূলক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম যেকোনো মূল্যে চলবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ৬০ জন ছাত্রনেতা
আরিফ সোহেল, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, মো: ওয়াহিদ উজ জামান, হামজা মাহবুব, মো: সাইফুল ইসলাম, নাহিদা বুশরা, মো: রাসেল মাহমুদ, মো: রাকিব, আসাদ বিন রনি, সানজানা আফিফা অদিতি, ইব্রাহীম নিরব, মো: সুজন মিয়া, আবু উবাইদা আব্দুল্লাহ খন্দকার, মো: আসিফ ইমতিয়াজ খান, সাকিব হোসাইন, মো: মেহেদী হাসান, লিটন আকন্দ, রিয়াদ হাসান, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, মেহেদী হাসান বাবু খান, মেহেরাজ হাসান শিশির, মোঃ আরমানুল ইসলাম, স্বর্ণা রিয়া, এস আই শাহিন, মিশু আলী সুহাস, মো: সোহাগ মিয়া, তানজিনা তাম্মিম হাপসা, রোকন উদ্দিন রানা, তাহসীন আহমেদ, এস এম সুইট, তৌহিদ আহমেদ আশিক, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, কুররাতুল আইন কানিজ, আরমান হোসাইন, মুমতাহহীনা মাহজাবীন মোহনা, আকরাম হোসাইন রাজ, সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, সালমান সাদিক, রিফাত রিদওয়ান, জহুরুল তানভীর, তারেক রেজা, তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, রাইয়ান ফেরদৌস, তসলিম ইসলাম অভি, দিলরুবা আক্তার পলি, খালেদ হাসান, মো. মহিউদ্দিন, মো. মোক্তার হোসেন, মিনহাজ ফাহিম, আনিকা তাহসিনা, রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, সামিয়া আক্তার, আজিজুল হক, মো. আরিফ হোসাইন, আহমেদ আল সাবাহ, মোঃ রাসেল আহমেদ, কে এম জাবিদ, নাজিফা জান্নাত ও শিবলী সাদি।

সর্বাধিক পঠিত

নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের স্যুটে বিশ্বনেতাদের সমাগম

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করলেন ৬০ ছাত্রনেতা, নতুন ঘোষণাপত্রের দাবি

আপডেট সময়: ১২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৬০ জন ছাত্রনেতা রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে জুলাই ঘোষণাপত্রকে “প্রতারণামূলক ও প্রহসন” উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা জনগণের সত্যিকারের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করে নতুন ঘোষণাপত্র প্রণয়ন এবং গণবান্ধব সংবিধান তৈরির দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও শেখ হাসিনার স্বৈরাচার থেকে মুক্ত করলেও পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় পুরোনো শোষণমূলক আমলাতন্ত্র ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা প্রভাব বিস্তার করে। এর ফলে পুরোনো সংবিধান, পুলিশ, আদালত ও প্রশাসনিক কাঠামো বহাল থাকে এবং গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হয়।

ছাত্রনেতাদের অভিযোগ, পুরোনো ব্যবস্থার অংশীদারেরা (আমলাতন্ত্র, লুটেরা শক্তি, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ) নানা প্রলোভন ও নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ছাত্র নেতৃত্বকে দুর্বল করে তোলে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবী, কৃষক, বেকার যুবক, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়নে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন সংবিধান ও গণবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলনও শক্তিশালী হয়নি।

তারা দাবি করেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের নামে জনগণের আসল আকাঙ্ক্ষা বাদ দিয়ে ভাসাভাসা স্বীকৃতি ও প্রতিশ্রুতি সম্বলিত একটি ‘অর্থহীন’ ডকুমেন্ট ৫ আগস্ট প্রকাশ করা হয়েছে, যা পুরোনো ব্যবস্থার জন্য কোনো হুমকি নয়।

ছাত্রনেতারা দৃঢ়ভাবে বলেন—হাজারো শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না; সত্যিকারের গণবান্ধব ও জনকল্যাণমূলক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম যেকোনো মূল্যে চলবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ৬০ জন ছাত্রনেতা
আরিফ সোহেল, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, মো: ওয়াহিদ উজ জামান, হামজা মাহবুব, মো: সাইফুল ইসলাম, নাহিদা বুশরা, মো: রাসেল মাহমুদ, মো: রাকিব, আসাদ বিন রনি, সানজানা আফিফা অদিতি, ইব্রাহীম নিরব, মো: সুজন মিয়া, আবু উবাইদা আব্দুল্লাহ খন্দকার, মো: আসিফ ইমতিয়াজ খান, সাকিব হোসাইন, মো: মেহেদী হাসান, লিটন আকন্দ, রিয়াদ হাসান, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, মেহেদী হাসান বাবু খান, মেহেরাজ হাসান শিশির, মোঃ আরমানুল ইসলাম, স্বর্ণা রিয়া, এস আই শাহিন, মিশু আলী সুহাস, মো: সোহাগ মিয়া, তানজিনা তাম্মিম হাপসা, রোকন উদ্দিন রানা, তাহসীন আহমেদ, এস এম সুইট, তৌহিদ আহমেদ আশিক, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, কুররাতুল আইন কানিজ, আরমান হোসাইন, মুমতাহহীনা মাহজাবীন মোহনা, আকরাম হোসাইন রাজ, সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, সালমান সাদিক, রিফাত রিদওয়ান, জহুরুল তানভীর, তারেক রেজা, তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, রাইয়ান ফেরদৌস, তসলিম ইসলাম অভি, দিলরুবা আক্তার পলি, খালেদ হাসান, মো. মহিউদ্দিন, মো. মোক্তার হোসেন, মিনহাজ ফাহিম, আনিকা তাহসিনা, রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, সামিয়া আক্তার, আজিজুল হক, মো. আরিফ হোসাইন, আহমেদ আল সাবাহ, মোঃ রাসেল আহমেদ, কে এম জাবিদ, নাজিফা জান্নাত ও শিবলী সাদি।