ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাইফের উপর হামলায় কারিনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান-এর ওপর ভয়াবহ হামলার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য কাটেনি। ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল বলে প্রথমে দাবি করা হলেও তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই নতুন নতুন প্রশ্ন সামনে এসেছে। পুলিশ, হাসপাতাল, এমনকি সাইফের পরিবারের বক্তব্যেও মিল পাওয়া যাচ্ছে না। হামলার প্রকৃত কারণ কী? ছুরি নাকি অন্য কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল? এমনকি, হামলার সময় সাইফের স্ত্রী কারিনা কাপুর আসলে কী করছিলেন— এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি।

হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬ জানুয়ারি ভোর ২:৩০ মিনিটে সাইফের ওপর হামলা হয়। কিন্তু হামলার পরপরই হাসপাতালে না গিয়ে তিনি দেড় ঘণ্টা বাড়িতে কী করছিলেন? প্রশ্ন উঠেছে, যদি সত্যিই ছুরির ২.৫ ইঞ্চি অংশ মেরুদণ্ডের কাছে আটকে গিয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে এতক্ষণ বাড়িতে বসে থাকতে পারলেন তিনি?

অটোচালকের বয়ান অনুযায়ী, সাইফ হাসপাতালে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন এক পুরুষ এবং তার ছেলে তৈমুর। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কারিনা কেন স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি? কেন সাইফকে অটোতে করে হাসপাতালে যেতে হলো? এমনকি, বন্ধুকে ফোন করে হাসপাতালে যেতে সাহায্য চাইতে হয়েছিল কেন? হাসপাতাল বলছে, সাইফের শরীরে ছুরির গভীর আঘাত ছিল, কিন্তু ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেটি ভোঁতা অস্ত্রের আঘাত! তাহলে সত্যিটা কী?

হামলার সময় বাড়ির পরিচারিকা প্রথম আততায়ীর মুখোমুখি হন। তিনি দাবি করেছেন, আততায়ীর হাতে ছুরি নয়, লাঠি ছিল। তাহলে কি ছুরিকাঘাতের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা?

কারিনার রহস্যজনক ভূমিকা
কারিনা বলেছেন, হামলার সময় তিনি ছেলেকে নিয়ে ছিলেন, কিন্তু প্রশ্ন হলো— তিনি কেন সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন না? কেন তিনি সরাসরি বোন কারিশ্মা কাপুরের বাড়ি চলে গেলেন? এমনকি, হামলার সময় কারিনার শরীরে কোনো আঘাত লাগেনি, যা সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে!

১২ দিন পরও মিলছে না স্পষ্ট উত্তর
সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। পুলিশ, হাসপাতাল, ফরেনসিক বিভাগ ও খান পরিবারের বক্তব্যগুলো একে অপরের সঙ্গে মেলেনি। তাহলে কি এই ঘটনার পেছনে লুকিয়ে আছে আরও বড় কোনো রহস্য? সময়ই হয়তো দেবে তার উত্তর!

সর্বাধিক পঠিত

নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের স্যুটে বিশ্বনেতাদের সমাগম

সাইফের উপর হামলায় কারিনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

আপডেট সময়: ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান-এর ওপর ভয়াবহ হামলার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য কাটেনি। ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল বলে প্রথমে দাবি করা হলেও তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই নতুন নতুন প্রশ্ন সামনে এসেছে। পুলিশ, হাসপাতাল, এমনকি সাইফের পরিবারের বক্তব্যেও মিল পাওয়া যাচ্ছে না। হামলার প্রকৃত কারণ কী? ছুরি নাকি অন্য কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল? এমনকি, হামলার সময় সাইফের স্ত্রী কারিনা কাপুর আসলে কী করছিলেন— এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি।

হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬ জানুয়ারি ভোর ২:৩০ মিনিটে সাইফের ওপর হামলা হয়। কিন্তু হামলার পরপরই হাসপাতালে না গিয়ে তিনি দেড় ঘণ্টা বাড়িতে কী করছিলেন? প্রশ্ন উঠেছে, যদি সত্যিই ছুরির ২.৫ ইঞ্চি অংশ মেরুদণ্ডের কাছে আটকে গিয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে এতক্ষণ বাড়িতে বসে থাকতে পারলেন তিনি?

অটোচালকের বয়ান অনুযায়ী, সাইফ হাসপাতালে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন এক পুরুষ এবং তার ছেলে তৈমুর। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কারিনা কেন স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি? কেন সাইফকে অটোতে করে হাসপাতালে যেতে হলো? এমনকি, বন্ধুকে ফোন করে হাসপাতালে যেতে সাহায্য চাইতে হয়েছিল কেন? হাসপাতাল বলছে, সাইফের শরীরে ছুরির গভীর আঘাত ছিল, কিন্তু ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেটি ভোঁতা অস্ত্রের আঘাত! তাহলে সত্যিটা কী?

হামলার সময় বাড়ির পরিচারিকা প্রথম আততায়ীর মুখোমুখি হন। তিনি দাবি করেছেন, আততায়ীর হাতে ছুরি নয়, লাঠি ছিল। তাহলে কি ছুরিকাঘাতের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা?

কারিনার রহস্যজনক ভূমিকা
কারিনা বলেছেন, হামলার সময় তিনি ছেলেকে নিয়ে ছিলেন, কিন্তু প্রশ্ন হলো— তিনি কেন সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন না? কেন তিনি সরাসরি বোন কারিশ্মা কাপুরের বাড়ি চলে গেলেন? এমনকি, হামলার সময় কারিনার শরীরে কোনো আঘাত লাগেনি, যা সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে!

১২ দিন পরও মিলছে না স্পষ্ট উত্তর
সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। পুলিশ, হাসপাতাল, ফরেনসিক বিভাগ ও খান পরিবারের বক্তব্যগুলো একে অপরের সঙ্গে মেলেনি। তাহলে কি এই ঘটনার পেছনে লুকিয়ে আছে আরও বড় কোনো রহস্য? সময়ই হয়তো দেবে তার উত্তর!