ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান

মহানবী (সা.)-এর আদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়: ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 62

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।

‘পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, মহানবী (সা.) ছিলেন “রাহমাতুল্লিল আলামিন” তথা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। আল্লাহ তাঁকে মানবজাতির হেদায়েত ও মুক্তির জন্য প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান—আল্লাহ বলেছেন, “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)।

তিনি উল্লেখ করেন, নবী করিম (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন “সিরাজাম মুনিরা” অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে, যিনি কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচার থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়ে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের পথ দেখিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নবী (সা.)-এর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, দয়া, মহৎ গুণাবলি এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের কারণে কুরআনে তাঁকে বলা হয়েছে “উসওয়াতুন হাসানাহ্” বা সুন্দরতম আদর্শ। এ জীবনাদর্শ প্রতিটি যুগের মানুষের জন্য দিশারী হয়ে থাকবে।

শেষে তিনি দেশবাসী ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সকলের মাঝে শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুসংহত হোক। মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকাল ও পরকালীন মুক্তি সুনিশ্চিত হোক।”
***আমিন***

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান

মহানবী (সা.)-এর আদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট সময়: ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।

‘পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, মহানবী (সা.) ছিলেন “রাহমাতুল্লিল আলামিন” তথা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। আল্লাহ তাঁকে মানবজাতির হেদায়েত ও মুক্তির জন্য প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান—আল্লাহ বলেছেন, “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)।

তিনি উল্লেখ করেন, নবী করিম (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন “সিরাজাম মুনিরা” অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে, যিনি কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচার থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়ে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের পথ দেখিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নবী (সা.)-এর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, দয়া, মহৎ গুণাবলি এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের কারণে কুরআনে তাঁকে বলা হয়েছে “উসওয়াতুন হাসানাহ্” বা সুন্দরতম আদর্শ। এ জীবনাদর্শ প্রতিটি যুগের মানুষের জন্য দিশারী হয়ে থাকবে।

শেষে তিনি দেশবাসী ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সকলের মাঝে শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুসংহত হোক। মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকাল ও পরকালীন মুক্তি সুনিশ্চিত হোক।”
***আমিন***