ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ
প্লাস্টিকের সহজলভ্যতা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ও কাঁচামাল সংকটে দিশেহারা শত বছরের পুরোনো বাঁশ-বেত শিল্প

বাঁশ ও বেত শিল্প বিলুপ্তির পথে: প্লাস্টিকের দাপট আর অবহেলায় হারাচ্ছে ঐতিহ্য

বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য একসময় ছিলো গ্রামীণ জীবনের অপরিহার্য অংশ। খাট, মোড়া, ঝুঁড়ি, চালুনি, হাতপাখা থেকে শুরু করে গৃহস্থালির নানা উপকরণে ছিল বাঁশ ও বেতের দাপট। কিন্তু আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতা, প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতা ও সস্তা দামের কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই শিল্প।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাঁশ ও বেত শিল্পের সাথে যুক্ত কারিগররা চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। একসময় এ শিল্প দিয়ে হাজারো পরিবার জীবিকা নির্বাহ করলেও এখন আর সেই দিন নেই। বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কাঁচামাল (বাঁশ) অপ্রতুলতা, পর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনার অভাব তাদের পেশা ছাড়তে বাধ্য করছে।

স্থানীয় কারিগরদের মতে, আগে একটি বাঁশ ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন তা ২০০-২৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়েছে বহুগুণ। অন্যদিকে প্লাস্টিক ও মেলামাইনের পণ্য বাজারে ভিড় জমিয়েছে সস্তা দামে। এ অবস্থায় বাঁশ-বেত শিল্পের পণ্য বিক্রি কমে যাওয়ায় কারিগররা লোকসানের বোঝা টানছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু নান্দনিকতার জন্য নয়, পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবেও বাঁশ-বেতের পণ্যকে টিকিয়ে রাখা জরুরি। এ শিল্পকে রক্ষায় সরকারিভাবে বিশেষ প্রণোদনা, সহজ ঋণ সুবিধা, কারিগরদের প্রশিক্ষণ এবং বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসা এই ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেত শিল্প একদিন ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

প্লাস্টিকের সহজলভ্যতা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ও কাঁচামাল সংকটে দিশেহারা শত বছরের পুরোনো বাঁশ-বেত শিল্প

বাঁশ ও বেত শিল্প বিলুপ্তির পথে: প্লাস্টিকের দাপট আর অবহেলায় হারাচ্ছে ঐতিহ্য

আপডেট সময়: ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য একসময় ছিলো গ্রামীণ জীবনের অপরিহার্য অংশ। খাট, মোড়া, ঝুঁড়ি, চালুনি, হাতপাখা থেকে শুরু করে গৃহস্থালির নানা উপকরণে ছিল বাঁশ ও বেতের দাপট। কিন্তু আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতা, প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতা ও সস্তা দামের কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই শিল্প।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাঁশ ও বেত শিল্পের সাথে যুক্ত কারিগররা চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। একসময় এ শিল্প দিয়ে হাজারো পরিবার জীবিকা নির্বাহ করলেও এখন আর সেই দিন নেই। বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কাঁচামাল (বাঁশ) অপ্রতুলতা, পর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনার অভাব তাদের পেশা ছাড়তে বাধ্য করছে।

স্থানীয় কারিগরদের মতে, আগে একটি বাঁশ ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন তা ২০০-২৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়েছে বহুগুণ। অন্যদিকে প্লাস্টিক ও মেলামাইনের পণ্য বাজারে ভিড় জমিয়েছে সস্তা দামে। এ অবস্থায় বাঁশ-বেত শিল্পের পণ্য বিক্রি কমে যাওয়ায় কারিগররা লোকসানের বোঝা টানছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু নান্দনিকতার জন্য নয়, পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবেও বাঁশ-বেতের পণ্যকে টিকিয়ে রাখা জরুরি। এ শিল্পকে রক্ষায় সরকারিভাবে বিশেষ প্রণোদনা, সহজ ঋণ সুবিধা, কারিগরদের প্রশিক্ষণ এবং বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসা এই ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেত শিল্প একদিন ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।