
দেশের ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার মনে করেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতেই হওয়া উচিত। নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে ভোট চায় জামায়াত-এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, তবে দেশের ৫৬ শতাংশ ভোটারেরই এ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই।
একইসঙ্গে, ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন তারা ভোট দিতে আগ্রহী।
রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বেসরকারি সংস্থা ইনোভেশন কনসালটিংয়ের ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে, রাউন্ড-১’-এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জরিপের প্রধান সমন্বয়ক মো. রুবাইয়াত সরোয়ার ফলাফল উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
📊 জরিপের মূল ফলাফল
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মদক্ষতা:
৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ নাগরিক সরকারের কার্যক্রমকে ‘ভালো’ বা ‘মধ্যম মানের’ বলেছেন। তবে তরুণ, শিক্ষিত ও নগরবাসীর মধ্যে সন্তুষ্টি তুলনামূলক কম।
নির্বাচন ও ভোট নিরাপত্তা:
৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।
৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ বিশ্বাস করেন তারা নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। তবে পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তরুণদের মধ্যে সংশয় বেশি।
আইনশৃঙ্খলা:
৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ নাগরিকের মতে গত ছয় মাসে চাঁদাবাজি বেড়েছে। তবে তরুন ও শিক্ষিতদের তথ্যের প্রধান উৎস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
নির্বাচনের সময়সূচি ও অংশগ্রহণ:
৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে। ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট দিতে আগ্রহী। তবে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের একাংশ সময়সূচি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
নির্বাচনি সংস্কার:
৫৬ শতাংশ ভোটার পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না। যারা জানেন, তাদের মধ্যে সমর্থন তুলনামূলক বেশি। তরুণ ও উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে সমর্থনের হার সবচেয়ে বেশি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন—“ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো। দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে চাইছে, এর মানে আসছে ইনক্লুসিভ নির্বাচন।”