
ইসলামে কিছু আমল রয়েছে, যেগুলো দুনিয়াতেই নগদ পুরস্কার বয়ে আনে। এর মধ্যে অন্যতম হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। ইখলাস ও আস্থার সঙ্গে তাহাজ্জুদ আদায় করলে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাকে বিশেষ রহমত দান করেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গায়েবি সাহায্য অনুভূত হয় এবং রিজিকে বরকত নেমে আসে।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
“আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।”
(সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)
আরেক আয়াতে উল্লেখ আছে,
“তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে আলাদা হয়। তারা ভয় ও আশা নিয়ে তাদের রবকে ডাকে। আর আমি তাদেরকে যে রিজিক দান করেছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে।”
(সুরা সিজদা, আয়াত : ১৬)
তাহাজ্জুদ হলো রাতের শেষ ভাগে, কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর আদায়কৃত নফল নামাজ। তবে কেউ চাইলে এশার নামাজের পর ফজরের পূর্ব পর্যন্তও এটি আদায় করতে পারেন। হাদিসে এসেছে, রাতের একটি বিশেষ সময়ে বান্দার দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৫৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন,
“হে লোকসকল! তোমরা সালাম ছড়িয়ে দাও, অভুক্তকে আহার করাও এবং যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন সালাত পড়ো। তাহলে নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৪)
অতএব, দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি, রিজিকে বরকত, অন্তরে প্রশান্তি এবং আখিরাতের মুক্তির জন্য তাহাজ্জুদ একটি অন্যতম কার্যকর আমল।