
জুমার দিন খুতবার আগেই মসজিদে চলে যাওয়া উচিত। জুমার আজানের পর দুনিয়াবি কাজকর্ম করার ব্যাপারে কোরআনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা: ৯)
তাই জুমার আজান হয়ে গেলে মসজিদে চলে যাওয়া, সব দুনিয়াবি কাজ বন্ধ করে দেওয়া কুরআনের সরাসরি নির্দেশে ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য।
এরপরও কোনো অসুবিধা বা জরুরি ব্যস্ততার কারণে কেউ যদি জুমার জামাতে গিয়ে প্রথম রাকাত না পান, তাহলে তিনি অন্যান্য নামাজের মতোই ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর উঠে দাঁড়িয়ে অবশিষ্ট এক রাকাত আদায় করবেন। অর্থাৎ ইমামের সালাম ফেরানোর পর আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়াবেন, সানা পড়বেন, সুরা ফাতিহা পড়বেন, সুরা মেলাবেন, তারপর রুকু ও সেজদা করে শেষ বৈঠকের মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন।
১. জুমার নামাজের গুরুত্ব> ইসলামে জুমার নামাজের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি অযথা তিনটি জুমা ত্যাগ করবে, তার অন্তরে আল্লাহ্ সীল মেরে দেবেন।” (সুনান আবু দাউদ: ১০৫২)
২. জুমার নামাজের মৌলিক রাকাত> জুমার নামাজ সাধারণত মোট ১৪ রাকাত হিসেবে আদায় করা হয়: ৪ রাকাত সুন্নত (আজানের আগে), ২ রাকাত ফরজ (ইমামের সঙ্গে), ৪ রাকাত সুন্নত (ফরজের পর), ২ রাকাত সুন্নত, ২ রাকাত নফল (ইচ্ছানুযায়ী),
৩. ইমামের সঙ্গে রাকাত মিস হলে করণীয়>
ক. এক রাকাত পেয়ে থাকলে>
যদি ইমামের সঙ্গে অন্তত একটি রাকাত আদায় করতে পারেন, তাহলে সালামের পর উঠে বাকি রাকাতগুলো সম্পন্ন করবেন। এ নামাজ জুমার নামাজ হিসেবেই গণ্য হবে।
খ. ইমামের সঙ্গে এক রাকাতও না পেলে>
যদি ইমামের রুকুতে না পৌঁছান বা এক রাকাতও না পান, তাহলে জুমার ফরজ আদায় হবে না। এ ক্ষেত্রে আপনাকে চার রাকাত জোহরের ফরজ পড়তে হবে।
৪. জুমার নামাজ সম্পূর্ণ মিস হলে > যদি কোনো কারণে পুরো জুমার নামাজই মিস হয়ে যায়, তখন চার রাকাত জোহরের ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।
৫. হাদিসের আলোকে করণীয়> রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে একটি রাকাত পায়, সে পুরো জুমা পেয়ে গেছে।” (সহিহ বুখারি: ৮৭৫)