
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পৃথক তিন ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এবং একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। ঘটনাগুলো শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সর্বানন্দ, কাপাসিয়া ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘটে।
উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া (বাধের পূর্বপাড়) গ্রামের ফয়েজ রহমান (৩৫) পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেন। তিনি মৃত বংশের আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী ডিভোর্স দেওয়ার পর দেনমোহর ও ভরণপোষণের মামলার কারণে মানসিক চাপে তিনি নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এদিন বিকালে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের খামার মনিরাম গ্রামের আরিফুল ইসলাম (৩০) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তিনি ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ভ্যান ও কোদাল নিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে যাওয়ার সময় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা অরক্ষিত বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, একই গ্রামের আলহাজ্ব আজাহার আলীর মালিকানাধীন সেচযন্ত্র থেকে টানা প্রায় ৭০০-৮০০ গজ তার ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।
এদিন সর্বানন্দ ইউনিয়নের আরেকজনও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।