
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং একাধিকবার দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবেও আলোচনায় আসেন। তবে হঠাৎ করে বিএনপির মঞ্চে তার উপস্থিতি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোডাউন, ভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাজির হন অপু বিশ্বাস। তার সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়ক নিরব হোসেনও।
এই ঘটনাকে সহজভাবে নেননি বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে বিষয়টিকে “সুবিধাবাদী রাজনীতি” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
পরীমণির ফেসবুক স্ট্যাটাসে কটাক্ষ
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে কটাক্ষ করেন জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি লেখেন—
“আগে ছিল ৬ মাস হিন্দু, ৬ মাস মুসলিম। এখন ৬ মাস আওয়ামী লীগ, ৬ মাস বিএনপি। পল্টিবাজ, সুবিধাবাদী কারে বলে দিদি কিন্তু দেখিয়ে দিলেন। বাপরে বাপ কি জিনিস এটা।”
যদিও পোস্টে তিনি অপু বিশ্বাসের নাম উল্লেখ করেননি, তবে মন্তব্য বিভাগে তার অনুরাগীরা বিষয়টি পরিষ্কার করে দেন।
অতীতে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণা
অপু বিশ্বাস এর আগে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়মিত অংশ নিতেন। এমনকি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবেও আলোচনায় ছিলেন। ফলে তার হঠাৎ বিএনপি মঞ্চে উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রশ্ন উঠছে।
শোবিজে প্রতিক্রিয়া
ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই। কেউ কেউ একে “ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলবদল” বলে উল্লেখ করেছেন। রাজনৈতিক মহলেও এই পদক্ষেপ নতুন আলাপের জন্ম দিয়েছে।