ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জুড়ে শতাধিক মিথ্যা মামলা, ভয়ভীতি ও মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন কেরানীগঞ্জ বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান ও তার পরিবার।

সাভারে বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান ও পরিবারের ১৭ বছরের নির্যাতনের করুণ কাহিনি

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে নির্যাতন, হয়রানি ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মো. মেহেদী হাসান ও তার পরিবার। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কাল জুড়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনে নেমে এসেছে ভয়-ভীতি, অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের ছায়া।

মেহেদী হাসান জানান, একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হুমকির কারণে তাকে বারবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। একইসঙ্গে স্ত্রী-সন্তানরাও পড়েছেন ভয়াবহ মানসিক চাপে। তার ভাষায়, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমার পরিবারকে শান্তিতে বাঁচতে দেয়নি। শতাধিক মামলা ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপির জন্য কাজ করে গেছি।”

মেহেদী হাসানের ভাই মো. মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা তাকে খুঁজতে থাকে। এসময় পরিবারের নারী সদস্যদেরও নানা হুমকি ও গালিগালাজের মুখে পড়তে হয়।

তার আরেক ভাই, এশিয়ান টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মো. শরিফ ইসলাম, বিএনপি সংশ্লিষ্ট সংবাদ কাভার করায় বারবার হয়রানির শিকার হন। রাস্তাঘাটে হেনস্তা ও তির্যক মন্তব্যের শিকার হতে হয় তাকে। মেহেদীর ভাষায়, “আমাদের দোষ ছিল শুধু বিএনপি করা।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় বিএনপি ও ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, “আমরা রাজপথে ছিলাম, বুক পেতে স্লোগান দিয়েছি। আমরা জুলাই বিক্রি করতে চাই না, দেশের জন্য কাজ করেছি।”

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা তাকে প্রলোভন দেখিয়েছিল। তাদের পক্ষ থেকে ৪১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দেওয়ার প্রস্তাব আসে, শর্ত ছিল—হেমায়েতপুরে আওয়ামী লীগকে ফের সক্রিয় করতে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তার ভাষায়, “আপনারা খুনি। সাভারে অসহায় মানুষকে গুলি করেছেন। আমরা আপনাদের কালো ছায়া পড়তে দেব না।”

মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, বর্তমানে তাকে উল্টো আওয়ামী লীগের সহযোগী বলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আজ আমাদেরই আওয়ামী লীগার বলা হচ্ছে। অথচ আমাদের কারণেই হেমায়েতপুরে আওয়ামী লীগ সক্রিয় হতে পারছে না। আওয়ামী লীগের আমলে যারা আরামে ছিল, তারাই এখন ষড়যন্ত্র করছে।”

সাক্ষাৎকারের শেষে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে সবার প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বিদ্বেষ ভুলে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে হবে।”

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জুড়ে শতাধিক মিথ্যা মামলা, ভয়ভীতি ও মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন কেরানীগঞ্জ বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান ও তার পরিবার।

সাভারে বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান ও পরিবারের ১৭ বছরের নির্যাতনের করুণ কাহিনি

আপডেট সময়: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে নির্যাতন, হয়রানি ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মো. মেহেদী হাসান ও তার পরিবার। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কাল জুড়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনে নেমে এসেছে ভয়-ভীতি, অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের ছায়া।

মেহেদী হাসান জানান, একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হুমকির কারণে তাকে বারবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। একইসঙ্গে স্ত্রী-সন্তানরাও পড়েছেন ভয়াবহ মানসিক চাপে। তার ভাষায়, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমার পরিবারকে শান্তিতে বাঁচতে দেয়নি। শতাধিক মামলা ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপির জন্য কাজ করে গেছি।”

মেহেদী হাসানের ভাই মো. মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা তাকে খুঁজতে থাকে। এসময় পরিবারের নারী সদস্যদেরও নানা হুমকি ও গালিগালাজের মুখে পড়তে হয়।

তার আরেক ভাই, এশিয়ান টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মো. শরিফ ইসলাম, বিএনপি সংশ্লিষ্ট সংবাদ কাভার করায় বারবার হয়রানির শিকার হন। রাস্তাঘাটে হেনস্তা ও তির্যক মন্তব্যের শিকার হতে হয় তাকে। মেহেদীর ভাষায়, “আমাদের দোষ ছিল শুধু বিএনপি করা।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় বিএনপি ও ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, “আমরা রাজপথে ছিলাম, বুক পেতে স্লোগান দিয়েছি। আমরা জুলাই বিক্রি করতে চাই না, দেশের জন্য কাজ করেছি।”

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা তাকে প্রলোভন দেখিয়েছিল। তাদের পক্ষ থেকে ৪১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দেওয়ার প্রস্তাব আসে, শর্ত ছিল—হেমায়েতপুরে আওয়ামী লীগকে ফের সক্রিয় করতে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তার ভাষায়, “আপনারা খুনি। সাভারে অসহায় মানুষকে গুলি করেছেন। আমরা আপনাদের কালো ছায়া পড়তে দেব না।”

মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, বর্তমানে তাকে উল্টো আওয়ামী লীগের সহযোগী বলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আজ আমাদেরই আওয়ামী লীগার বলা হচ্ছে। অথচ আমাদের কারণেই হেমায়েতপুরে আওয়ামী লীগ সক্রিয় হতে পারছে না। আওয়ামী লীগের আমলে যারা আরামে ছিল, তারাই এখন ষড়যন্ত্র করছে।”

সাক্ষাৎকারের শেষে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে সবার প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বিদ্বেষ ভুলে যেতে হবে। জাতীয় স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে হবে।”