ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ
হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এনজিও থেকে ঋণ না পেয়ে ও অপমানের শিকার হয়ে দিনমজুর শংকর সাহার মর্মান্তিক মৃত্যু—পরিবারের অভিযোগ হত্যা, এনজিওর দাবি আত্মহত্যা।

হাতিয়ায় দিনমজুরের মৃত্যু: ঋণ বঞ্চনা ও অপমানের শিকার হয়ে বিষপান, ন্যায়বিচারের দাবিতে ক্ষোভ

লাইফস্টাইলেই

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ঘটে যাওয়া এক হৃদয়বিদারক ঘটনা স্থানীয়দের মনে ক্ষোভ ও বেদনার ঝড় তুলেছে। চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শংকর সাহা (৪০), দুই সন্তানের জনক ও পেশায় দিনমজুর, এনজিও থেকে ঋণ না পেয়ে ও অপমানিত হয়ে জীবনের ইতি টানলেন।

প্রায় ৮-৯ মাস আগে তিনি হীড বাংলাদেশ-এর ওছখালি শাখা থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ সুদে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করার পর নতুন ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, সম্প্রতি অফিসে গিয়ে তিনি শুধু ঋণ বঞ্চিতই হননি, বরং অপমানের শিকারও হন।

এরপর ক্ষোভ ও হতাশায় শংকর বিষপান করেন। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

শংকরের স্ত্রী রিংকু সাহা অভিযোগ করেন—“এটা আত্মহত্যা নয়, এক ধরনের হত্যা। ঋণ না দিয়ে ও অপমান করে তাকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে।”

অন্যদিকে হীড বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার অলক কুমার হালদার জানান—“শংকর অফিসে আসার আগেই বিষপান করেছিলেন। আত্মীয়রা জানিয়েছিল তিনি ঋণ শোধ করতে পারবেন না। আমাদের অফিসে কাউকে বিষ খাওয়ানোর কোনো সুযোগ নেই।”

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ওমর ফারুক জানান, শংকরের পেট থেকে বিষ বের করা হয় এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি ইঁদুরনাশক জাতীয় বিষ পান করেছিলেন।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন—“লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই ঘটনার পর হাতিয়ার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তাদের মনে প্রশ্ন—এটি কি শুধুই আত্মহত্যা, নাকি এক নির্মম হত্যাকাণ্ড? এলাকায় ন্যায়বিচারের দাবিতে চাপ বাড়ছে।

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এনজিও থেকে ঋণ না পেয়ে ও অপমানের শিকার হয়ে দিনমজুর শংকর সাহার মর্মান্তিক মৃত্যু—পরিবারের অভিযোগ হত্যা, এনজিওর দাবি আত্মহত্যা।

হাতিয়ায় দিনমজুরের মৃত্যু: ঋণ বঞ্চনা ও অপমানের শিকার হয়ে বিষপান, ন্যায়বিচারের দাবিতে ক্ষোভ

আপডেট সময়: ০১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ঘটে যাওয়া এক হৃদয়বিদারক ঘটনা স্থানীয়দের মনে ক্ষোভ ও বেদনার ঝড় তুলেছে। চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শংকর সাহা (৪০), দুই সন্তানের জনক ও পেশায় দিনমজুর, এনজিও থেকে ঋণ না পেয়ে ও অপমানিত হয়ে জীবনের ইতি টানলেন।

প্রায় ৮-৯ মাস আগে তিনি হীড বাংলাদেশ-এর ওছখালি শাখা থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ সুদে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করার পর নতুন ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, সম্প্রতি অফিসে গিয়ে তিনি শুধু ঋণ বঞ্চিতই হননি, বরং অপমানের শিকারও হন।

এরপর ক্ষোভ ও হতাশায় শংকর বিষপান করেন। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

শংকরের স্ত্রী রিংকু সাহা অভিযোগ করেন—“এটা আত্মহত্যা নয়, এক ধরনের হত্যা। ঋণ না দিয়ে ও অপমান করে তাকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে।”

অন্যদিকে হীড বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার অলক কুমার হালদার জানান—“শংকর অফিসে আসার আগেই বিষপান করেছিলেন। আত্মীয়রা জানিয়েছিল তিনি ঋণ শোধ করতে পারবেন না। আমাদের অফিসে কাউকে বিষ খাওয়ানোর কোনো সুযোগ নেই।”

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ওমর ফারুক জানান, শংকরের পেট থেকে বিষ বের করা হয় এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি ইঁদুরনাশক জাতীয় বিষ পান করেছিলেন।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন—“লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই ঘটনার পর হাতিয়ার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তাদের মনে প্রশ্ন—এটি কি শুধুই আত্মহত্যা, নাকি এক নির্মম হত্যাকাণ্ড? এলাকায় ন্যায়বিচারের দাবিতে চাপ বাড়ছে।