ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ

স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে ১১ টুকরো, ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরীর রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরো করার ঘটনায় মো. সুমন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। সোমবার (৯ জুলাই) রাতে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনার পর সুমন পালিয়ে গেলেও পরে র‍্যাব-৭ এর একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার সুমন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকার বাসিন্দা সুন্দর আলীর ছেলে। তার আট বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করেছেন যে, ১০ বছর আগে তার সঙ্গে ফাতেমা বেগমের (৩২) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর সুমন কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি আরবে যান এবং ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি নগরীতে পিকআপ চালানো শুরু করেন।

৯ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির দশম তলায় ভাড়া নেয়া ফ্ল্যাটে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন। পরে তিনি লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখেন এবং গুম করার চেষ্টা করেন।

ঘটনার দিন রাতে ওই ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী মশিউর রহমান বাসা থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পানি ফ্ল্যাশ করার শব্দ শুনে সন্দেহবশত সুমনের দরজায় ডাকাডাকি করেন। প্রায় ৩০ মিনিট পর সুমন দরজা খুললেও, তিনি এলোমেলো কথা বলতে থাকেন এবং বাসায় প্রবেশে বাধা দেন। সন্দেহ বাড়ায় মশিউর রহমান জোর করে ফ্ল্যাটে ঢুকে রুমের বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ, বাথরুমে রক্তমাখা কাপড় ও কমোডে মানবদেহের মাংস দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাসার দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেন।

এসময় সুমন বাসার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, ঘটনাস্থল থেকে ফাতেমা বেগমের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। রুমের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় তার কাটা পা।

এ ঘটনায় নিহত ফাতেমার বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রুবেল বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে ১১ টুকরো, ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার

আপডেট সময়: ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরো করার ঘটনায় মো. সুমন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। সোমবার (৯ জুলাই) রাতে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনার পর সুমন পালিয়ে গেলেও পরে র‍্যাব-৭ এর একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার সুমন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকার বাসিন্দা সুন্দর আলীর ছেলে। তার আট বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করেছেন যে, ১০ বছর আগে তার সঙ্গে ফাতেমা বেগমের (৩২) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর সুমন কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি আরবে যান এবং ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি নগরীতে পিকআপ চালানো শুরু করেন।

৯ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির দশম তলায় ভাড়া নেয়া ফ্ল্যাটে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন। পরে তিনি লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখেন এবং গুম করার চেষ্টা করেন।

ঘটনার দিন রাতে ওই ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী মশিউর রহমান বাসা থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পানি ফ্ল্যাশ করার শব্দ শুনে সন্দেহবশত সুমনের দরজায় ডাকাডাকি করেন। প্রায় ৩০ মিনিট পর সুমন দরজা খুললেও, তিনি এলোমেলো কথা বলতে থাকেন এবং বাসায় প্রবেশে বাধা দেন। সন্দেহ বাড়ায় মশিউর রহমান জোর করে ফ্ল্যাটে ঢুকে রুমের বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ, বাথরুমে রক্তমাখা কাপড় ও কমোডে মানবদেহের মাংস দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাসার দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেন।

এসময় সুমন বাসার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, ঘটনাস্থল থেকে ফাতেমা বেগমের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। রুমের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় তার কাটা পা।

এ ঘটনায় নিহত ফাতেমার বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রুবেল বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।