ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভারে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে শশুর আটক

সাভারে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ধর্ষণের পর পুত্রবধূকে হত্যা করেছে শশুর, এমনটাই জানিয়েছেন নিহত লতার স্বজনরা। এঘটনায় শশুরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা, পরে পুলিশ দ্রুত তাকে মোটরসাইকেলে করে থানায় নিয়ে যান।

১৪ জুন শনিবার দুপুরে সাভার উপজেলা তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার সোলেমান এর একটি দোতলা ভবনের রুম থেকে নিহত লতা বেগমের লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা জানায়, গত এক বছর আগে সেলিম নামের এক যুবকের সাথে ১৮ বছর বয়সী লতার বিয়ে হয়।

বিয়ের পরে তারা সোলেমান মিয়ার দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এসময় এক‌ই বাড়িতে নিহত লতার বাবা-মা ও ছেলের বাবা-মাও রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো। পরে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী সেলিম ও শ্বশুর মাসুদ মিয়া চাপ দিচ্ছিল লতার উপর। পরে রাতে আবারো যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুর পুত্রবধূ লতাকে ঘরের মধ্যে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

এসময় নিহত লতা বেগম‌ বাঁচার জন্য শশুরকে সারা শরীরে আঘাত করেন। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস, আঘাত করেও তিনি মৃত্যুর কাছে হেরে যান। পরে স্থানীয়রা দুপুরে ঘরের মধ্যে লতা বেগমের লাশ দেখে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লতা হত্যাকারী শ্বশুর মাসুদ মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করলে পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে যোগে থানায় নিয়ে যান। এদিকে নিহত লতার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, চারজন মিলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।

এঘটনার পর থেকে লতা বেগমের স্বামী সেলিম মিয়া পলাতক রয়েছে। ভয়াবহ নির্যাতনে এ হত্যার পরে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সবুজ বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের শ্বশুর মাসুদ মিয়াকে আটক করা হয়েছে, সেইসাথে নিহতের স্বামীকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে আরো অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।

সর্বাধিক পঠিত

নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের স্যুটে বিশ্বনেতাদের সমাগম

সাভারে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে শশুর আটক

আপডেট সময়: ০৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

সাভারে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ধর্ষণের পর পুত্রবধূকে হত্যা করেছে শশুর, এমনটাই জানিয়েছেন নিহত লতার স্বজনরা। এঘটনায় শশুরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা, পরে পুলিশ দ্রুত তাকে মোটরসাইকেলে করে থানায় নিয়ে যান।

১৪ জুন শনিবার দুপুরে সাভার উপজেলা তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার সোলেমান এর একটি দোতলা ভবনের রুম থেকে নিহত লতা বেগমের লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা জানায়, গত এক বছর আগে সেলিম নামের এক যুবকের সাথে ১৮ বছর বয়সী লতার বিয়ে হয়।

বিয়ের পরে তারা সোলেমান মিয়ার দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এসময় এক‌ই বাড়িতে নিহত লতার বাবা-মা ও ছেলের বাবা-মাও রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো। পরে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী সেলিম ও শ্বশুর মাসুদ মিয়া চাপ দিচ্ছিল লতার উপর। পরে রাতে আবারো যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুর পুত্রবধূ লতাকে ঘরের মধ্যে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

এসময় নিহত লতা বেগম‌ বাঁচার জন্য শশুরকে সারা শরীরে আঘাত করেন। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস, আঘাত করেও তিনি মৃত্যুর কাছে হেরে যান। পরে স্থানীয়রা দুপুরে ঘরের মধ্যে লতা বেগমের লাশ দেখে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লতা হত্যাকারী শ্বশুর মাসুদ মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করলে পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে যোগে থানায় নিয়ে যান। এদিকে নিহত লতার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, চারজন মিলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।

এঘটনার পর থেকে লতা বেগমের স্বামী সেলিম মিয়া পলাতক রয়েছে। ভয়াবহ নির্যাতনে এ হত্যার পরে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সবুজ বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের শ্বশুর মাসুদ মিয়াকে আটক করা হয়েছে, সেইসাথে নিহতের স্বামীকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে আরো অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।