সাভারে চাঁদার দাবিতে ফুড কোর্ট মার্কেটের বিভিন্ন দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে এক যুবদলকর্মীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল ওহাব। এরআগে, বুধবার রাতে সাভারের বিরুলিয়া ব্রীজ এলাকার ফুড কোর্ট মার্কেটে এ ঘটনা ঘটেছে।
আটক ওই যুবদলকর্মীর নাম বিল্লাল হোসেন। তিনি বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবর এলাকার এনায়েত উল্লাহর ছেলে। মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত বুধবার ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মার্কেটের ৬০টি দোকান বাবদ ৬০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা চেয়ার টেবিল ভাঙচুরসহ রেস্টুরেন্টগুলোর সব খাবার ফেলে দেয়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন দোকানিরা।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- মোহাম্মদ মামুন (৩০), বিল্লাল হোসেন (৩২), আলী আশরাফ (২৮), জসীম উদ্দীন (২০), দেলোয়ার হোসেন (২৮), মেহেদী (২৪) ও কাউসার মোল্লা (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বিরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, ফুড কোর্ট থেকে এ বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করি। এসময় দোকানিরা মেনে নিলেও মামলার ১নম্বর আসামি মামুন ও ২নম্বর আসামি বিল্লাল তার মীমাংসা মেনে নেয়নি।পরবর্তীতে দোকান মালিকদের পক্ষে মামুন বাদী হয়ে (৩ এপ্রিল) সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় যৌথবাহিনী ২ নম্বর আসামি যুবদলকর্মী বিল্লালকে আটক করে।
শাহীনুর রহমান শাহীন আরো বলেন, ওই ফুড কোর্ট এলাকায় ৬০ থেকে ৭০টি খাবারের দোকান রয়েছে। এগুলোতে প্রতিদিনই প্রায় এক গাড়ি সিলিন্ডার গ্যাসের সরবরাহ করেন জৈনেক ব্যক্তি। অভিযুক্তরা তাদের এই গ্যাস সরবরাহ করতে চাইলে ফুড কোর্ট কর্তৃপক্ষ এতে সম্মতি না দিলে একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে এতে দোকানিদের সামান্য ক্ষতিসাধন হয়েছে। এছাড়া এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনায় ফুড কোর্টের একই অভিযুক্তদের নামে আরো একটি মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জুয়েল মিয়া বলেন, ফুড কোর্টের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply