
রংপুরে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতির পদ স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ।
গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাগছাস কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, সংগঠনের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতির সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। কেন্দ্রীয় সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসান এ নির্দেশনা দেন।
এছাড়া ঘটনার সঠিক অনুসন্ধান ও দায় নির্ধারণে বাগছাসের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তৌহিদ মো. সিয়াম, জ্যেষ্ঠ সংগঠক নাঈম আবেদীন ও মোহাম্মদ আরশাদ হোসাইনকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি পূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। গত ১৮ জুলাই সংগঠনটির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হন।
এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি রংপুর নগরীর হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হন। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী।
৪ সেপ্টেম্বর রংপুর নগরীর হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করেন ইমতি। ঘটনার সময় ক্লাস চলছিল। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
২৩ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হলে বাগছাস কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিগোচর হয়। পরদিনই কেন্দ্রীয় সংসদ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ইমতির পদ স্থগিত করে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে।
শিক্ষার্থী পেটানোর মতো নিন্দনীয় ঘটনায় বাগছাস নেতার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে একই সঙ্গে তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।