
রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের রতিরামপুর বানিয়াপাড়া এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আদালতে মামলা হেরে যাওয়ার পরেও প্রতিপক্ষের তাণ্ডবে অর্ধ শতাধিক ফলদ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার পথে ভুক্তভোগী পরিবারকে বেধড়ক মারধরের ঘটনাও ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত জুম্মন আলীর ছেলে আকবর আলি দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে যাদু মিয়ার জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। আদালত শেষ পর্যন্ত যাদু মিয়ার পক্ষে রায় দেন এবং ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের উপস্থিতিতে জমির সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা টানানো হয়। এরপর থেকে যাদু মিয়া জমিতে বিভিন্ন ফলদ গাছ রোপণ করে ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু চলমান আপিল মামলার আড়ালে গত ২৫ আগস্ট রাতে আকবর গং প্রায় ৩০টির বেশি অপরিপক্ব গাছ কেটে ফেলে বলে অভিযোগ করেন যাদু মিয়া।
এ ঘটনায় যাদু মিয়া তাঁর স্ত্রী ও আত্মীয়কে নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে প্রতিপক্ষ আকবর ও তার সহযোগীরা পথরোধ করে তাদের বেধড়ক মারধর করে। এতে যাদু মিয়ার এক আত্মীয় গুরুতর আহত হন।
যাদু মিয়া বলেন, “আকবর ও একাববর পরিবারের লোকজন উগ্র প্রকৃতির। কথায় কথায় হামলা চালায়, গুম-খুনের হুমকি দেয়। অভিযোগ করার পরেও পুলিশ এখনও জোরালো ভূমিকা নেয়নি। ফলে আমরা ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় আছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর সদর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, “বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, আকবর গং এলাকার ঠকবাজ স্বভাবের মানুষ। জমির প্রকৃত মালিক আসলে যাদু মিয়াই।