ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ উট: মরুভূমির জাহাজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বনভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে তদন্তেও রহস্যজনক ছাড় নাসা গ্রুপের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভমুখর মানববন্ধন অনাবাসী বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশি ইলিশ, ক্রেতার ঝোঁক গুজরাট-মিয়ানমারের দিকে কটাক্ষের মুখে দীপিকা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ বিএনপি–আওয়ামী লীগের মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার সবুজ

জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা ছিলেন শাওন সরকার

সাভার প্রতিনিধি : জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা ছিলেন শাওন সরকার। ছাত্র আন্দোলনে যখন সাভারের রাজপথ উত্তাল, পুলিশি বর্বরতা যখন আন্দোলনকারীদের রক্তাক্ত করছিল। তখনই ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন হয়ে ওঠেন প্রতিরোধের অন্যতম শক্তি। তিনি ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান, খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা যখন হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ঠিক তখনই সে এগিয়ে আসেন ছাত্রদের সাথে। পুলিশের টিয়ার গ্যাসের শেলের হাত থেকে বাঁচতে টুথপেস্ট ও মাস্ক সরবরাহ করেন, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুলতির ২০ হাজারেরও বেশি মার্বেল দেন।

সেই সময় সাভারের রাজপথ ছিল এক রণক্ষেত্র। ছাত্রদের প্রতিরোধ ছিল দুর্দমনীয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থেকে তিনি নেতৃত্ব দেন, সংগঠিত করেন। আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন। নিখোঁজদের খুঁজে বের করেন। এমনকি নিজের বাসা ও আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় দেন অনেক কর্মীকে। শাওন নিজের অর্থ ব্যয় করে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। কখনো কালো টাকার পিছনে ছোটেন না। কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। নেতা হিসেবে তিনি ক্ষমতার মোহে অন্ধ নন। বরং জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়াই তার একমাত্র চাওয়া।

তার এই একাগ্রতা ও সৎ রাজনীতির কারণে আজ তিনি তরুণদের অনুপ্রেরণা, যুবসমাজের নয়নমণি। নেতৃত্ব কেবল ক্ষমতার বাহাদুরি নয় বরং ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এক পথচলা। আর সেই পথে শাওন অবিচল। সাভারের আন্দোলনকারী ছাত্র হাবিব বলেন, “আমরা দেখেছি, কিভাবে শাওন ভাই আন্দোলনকারীদের সাহায্য করেছেন। অনেককে আশ্রয় দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন।” আন্দোলনকারী ছাত্র ইয়াসিন মন্ডল বলেন, “আমরা সেদিন জানতাম না কিভাবে প্রতিরোধ করবো। শাওন ভাই আমাদের গুলতি ও মার্বেল এনে দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের এক মুহূর্তের জন্যও একা ফেলেননি। তিনি আমাদের শুধু দিকনির্দেশনাই দেননি, নিজেও আমাদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন।” এক যুবদল কর্মী বলেন, “আমরা রাজনীতিতে অনেক নেতা দেখেছি, কিন্তু শাওন ভাইয়ের মতো নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা খুব কম মানুষের আছে। তিনি আমাদের শুধু নেতৃত্ব দেন না, আমাদের অভিভাবকের মতো আগলে রাখেন।” সাভারের এক তরুণ ছাত্রনেতা বলেন, “যখন আমরা আন্দোলন করেছি, তখন পুলিশি হামলার শিকার হয়েছি, অনেকেই পলায়নপর হয়েছে। কিন্তু শাওন ভাই তখনো রাজপথে ছিলেন। আমাদের রক্ষা করেছেন, খাবার, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।”

শাওন সরকার মনে করেন, এ দেশকে পরিবর্তন করতে হলে সুশিক্ষিত, আদর্শবান নেতৃত্ব দরকার। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। শাওন সরকার বলেন, “এই দেশ একদিন সত্যিই গণতন্ত্রের আলোয় আলোকিত হবে, শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে, খালেদা জিয়া আবার জনগণের মাঝে ফিরে আসবেন।”

সর্বাধিক পঠিত

ইসির নির্বাচনি সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ

জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা ছিলেন শাওন সরকার

আপডেট সময়: ০৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

সাভার প্রতিনিধি : জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা ছিলেন শাওন সরকার। ছাত্র আন্দোলনে যখন সাভারের রাজপথ উত্তাল, পুলিশি বর্বরতা যখন আন্দোলনকারীদের রক্তাক্ত করছিল। তখনই ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন হয়ে ওঠেন প্রতিরোধের অন্যতম শক্তি। তিনি ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান, খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা যখন হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ঠিক তখনই সে এগিয়ে আসেন ছাত্রদের সাথে। পুলিশের টিয়ার গ্যাসের শেলের হাত থেকে বাঁচতে টুথপেস্ট ও মাস্ক সরবরাহ করেন, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুলতির ২০ হাজারেরও বেশি মার্বেল দেন।

সেই সময় সাভারের রাজপথ ছিল এক রণক্ষেত্র। ছাত্রদের প্রতিরোধ ছিল দুর্দমনীয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থেকে তিনি নেতৃত্ব দেন, সংগঠিত করেন। আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন। নিখোঁজদের খুঁজে বের করেন। এমনকি নিজের বাসা ও আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় দেন অনেক কর্মীকে। শাওন নিজের অর্থ ব্যয় করে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। কখনো কালো টাকার পিছনে ছোটেন না। কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। নেতা হিসেবে তিনি ক্ষমতার মোহে অন্ধ নন। বরং জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়াই তার একমাত্র চাওয়া।

তার এই একাগ্রতা ও সৎ রাজনীতির কারণে আজ তিনি তরুণদের অনুপ্রেরণা, যুবসমাজের নয়নমণি। নেতৃত্ব কেবল ক্ষমতার বাহাদুরি নয় বরং ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এক পথচলা। আর সেই পথে শাওন অবিচল। সাভারের আন্দোলনকারী ছাত্র হাবিব বলেন, “আমরা দেখেছি, কিভাবে শাওন ভাই আন্দোলনকারীদের সাহায্য করেছেন। অনেককে আশ্রয় দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন।” আন্দোলনকারী ছাত্র ইয়াসিন মন্ডল বলেন, “আমরা সেদিন জানতাম না কিভাবে প্রতিরোধ করবো। শাওন ভাই আমাদের গুলতি ও মার্বেল এনে দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের এক মুহূর্তের জন্যও একা ফেলেননি। তিনি আমাদের শুধু দিকনির্দেশনাই দেননি, নিজেও আমাদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন।” এক যুবদল কর্মী বলেন, “আমরা রাজনীতিতে অনেক নেতা দেখেছি, কিন্তু শাওন ভাইয়ের মতো নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা খুব কম মানুষের আছে। তিনি আমাদের শুধু নেতৃত্ব দেন না, আমাদের অভিভাবকের মতো আগলে রাখেন।” সাভারের এক তরুণ ছাত্রনেতা বলেন, “যখন আমরা আন্দোলন করেছি, তখন পুলিশি হামলার শিকার হয়েছি, অনেকেই পলায়নপর হয়েছে। কিন্তু শাওন ভাই তখনো রাজপথে ছিলেন। আমাদের রক্ষা করেছেন, খাবার, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।”

শাওন সরকার মনে করেন, এ দেশকে পরিবর্তন করতে হলে সুশিক্ষিত, আদর্শবান নেতৃত্ব দরকার। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। শাওন সরকার বলেন, “এই দেশ একদিন সত্যিই গণতন্ত্রের আলোয় আলোকিত হবে, শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে, খালেদা জিয়া আবার জনগণের মাঝে ফিরে আসবেন।”