
মাদারীপুরের শিবচরে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর রেনু বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর। চুরির অপবাদ মেনে নিতে না পারায় প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে বৃদ্ধা রেনু বেগমকে গলাকেটে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাজী রাসেল মাহমুদ ওরফে সবুজ (৩০)-কে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে শিবচর উপজেলার পাচ্চর চরকান্দি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি ঢাকার ইব্রাহিমপুর থানার পশ্চিম শেওড়াপাড়া গ্রামের মৃত কাজী কেরামত আলীর ছেলে।
র্যাব-৮ মাদারীপুর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ জানিয়েছে, প্রায় ৯ মাস আগে তিনি নিহত রেনু বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেই সময়ে রেনু বেগমের বাড়িতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে এবং রেনু বেগম তাকে সন্দেহ করেন। এই অপবাদ মেনে নিতে না পারায় সবুজ প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত ছিলেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে সে গোপনে রেনু বেগমের বাড়ির রান্নাঘরে অবস্থান নেন। পরদিন সকালে সুযোগ বুঝে ভিকটিমের শোবার ঘরে প্রবেশ করে তাকে গলাকেটে হত্যা করেন। হত্যার পর সবুজ রেনু বেগমের ঘরে থাকা স্বর্ণের দুল, মোবাইল ফোন, রাইস কুকার, কাপড়চোপড় এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
র্যাব-৮ মাদারীপুরের কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন জানান, হত্যাকারীকে গ্রেফতারের পর শিবচর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।