1. admin@bdkhabor.com : বাংলাদেশ খবর :
       
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
স্বাগতম

সবার আগে সকল ধরনের খবর পেতে বাংলাদেশ খবর এর সঙ্গে থাকুন। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন, আপনার মতামত তুলে ধরুন আমাদের মাধ্যমে। আমরা আছি আপনার পাশে bdkhabor.com. তথ্য পাঠাতে: Infobdkhabar@gmail.com ★ ধন্যবাদ★ 

শিরোনাম
আশুলিয়ায় পার্কিং করা বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ডিবি কার্যালয়ে নুসরাত ফারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ, সোমবার তোলা হবে আদালতে সাভারে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা সাভারে বন বিভাগের জমি দখলে বাধা, বিট কর্মকর্তাসহ ৫ জন আহত সাভারে বাংলাদেশ ইলেকট্রিশিয়ান ফেডারেশনের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত ট্রাম্পের নাতনি কাই টিকটকে নাচের ভিডিও দিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছেন অভিযানে রিকশা হারানো ৩ চালক টাকা পেলেন ৫০ হাজার করে নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর পুকুর থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার রাজধানীতে অবৈধ অটোরিকশা বন্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট অফিস ও হাসপাতালে অভিযান, দুই দালালকে অর্থদণ্ড

এই গরমে কতটুকু পানি পান করলে শরীর সুস্থ থাকবে

  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
পানি

প্রকৃতিতে এখন তীব্র গরম। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি নেই, গরমের কারণে সবাই ঘামছে, পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে অনেকেই অসুস্থ বোধ করছেন। এই তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত পরিমাণ জীবাণুমুক্ত পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন। যেন মানুষ পানিবাহিত রোগ থেকে বেঁচে থাকে এবং পানি পান করে পূর্ণ তৃপ্তি লাভ করে। শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার জন্য সকলের পানি পান করা জরুরি।

চিকিৎসকের মতে, বেশি করে পানি পান করুন, পানিশূন্যতা এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে যারা বাইরে রোদে কাজ করেন বা যেসব শিশু খেলাধুলা করে। কিন্তু কতটুকু পানি খাবেন?

শরীরে পানির অভাব হচ্ছে কি না, তা বোঝার জন্য আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশে পিপাসা কেন্দ্র আছে। যখনই পানির অভাব হয়, এই কেন্দ্র জানান দেয় যে পানি পান করতে হবে। অবশ্য খুব ছোট শিশু ও বৃদ্ধ বা স্মৃতিভ্রম, স্ট্রোকের রোগী বা মানসিক রোগীরা নিজের চাহিদা ভালো করে বুঝতে পারেন না বা প্রকাশ করতে পারেন না। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে চাই সতর্কতা। আমাদের আবহাওয়ায় একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বা নারীর দৈনিক সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করলে মোটামুটি চাহিদা মেটে। কিন্তু জ্বর, ডায়রিয়া, বমি, বেশি ঘাম এই চাহিদা বাড়িয়ে দিতে পারে।

আবার পানি বেশি পানও ভালো নয়। ওভারহাইড্রেশন হলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে, কারও আবার শরীর ফুলে যেতেও পারে। কিডনি, যকৃৎ ও হৃদ্‌রোগীদের চিকিৎসক পানি মেপে খেতে বলেন, সে জায়গায় অতিরিক্ত পানি পান করা বিপজ্জনক হতে পারে। অ্যাথলেট বা খেলোয়াড়েরা প্রচুর ঘামেন, যাতে লবণপানি দুটিই হারায় শরীর, সে ক্ষেত্রে তাঁরা যদি শুধু বারবার পানি পান করেন, তাহলে রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। তাঁদের উচিত ইলেকট্রোলাইটসহ পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন পানি পান করা।

পানির অপর নাম জীবন। সমস্ত ধরনের প্রাণের বেঁচে থাকার জন্য পানি অপরিহার্য। মানবদেহের মোট ওজনের ৭০ শতাংশ পানি। শরীর সুস্থ থাকতে খাদ্য পরিপাক, পরিশোষণ, পরিবহন, বর্জ্য পদার্থ দূরীকরণ, দৈহিক তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষায়, চুলের সমস্যা বা ত্বকের কিংবা পাচনতন্ত্রের, সবকিছু পারফেক্ট রাখতে সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া খুবই জরুরি। পানি ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব না। একজন মানুষ পানি ছাড়া গড়ে মাত্র তিন দিন বেঁচে থাকতে পারে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখে পানি। শুধু তাই নয়, এই পানীয় রক্ত তৈরি থেকে শুরু করে অস্থিসন্ধিকে পিচ্ছিল রাখা, শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেওয়া সহ প্রায় সব শারীরবৃত্তীয় কাজেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এমন দহনদিনে সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতেই হবে। নইলে যে পিছু নেবে ডিহাইড্রেশনের মতো জটিল অসুখ।

শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। হজমের গোলমাল থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া— শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকলে এই সমস্যাগুলো দেখা যায়।

শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হলে প্রাথমিকভাবে যেসব উপসর্গগুলো দেখা যায়। যেমন সব সময় খিদে পায়। প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়। প্রস্রাব করার সময় জ্বালা করতে পারে। শ্বাসের মধ্যে দুর্গন্ধ থাকে। মাথা ব্যথা। কোষ্ঠকাঠিন্য। দুর্বলতা। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। অস্থিসন্ধিতে ব্যথা। মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি। লো ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা। কিডনির সমস্যা ইত্যাদি। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে নিজে খেয়াল করে দেখুন আপনি কী পরিমাণ পানি পান করছেন।

পুষ্টিবিদদের মতে, আপনার ওজনের ওপর নির্ভর করবে দিনে ঠিক কতটা পরিমাণ পানি পান করবেন। এক ব্যক্তি যার ওজন ৮০ কেজি তাকে ৬০ কেজি ওজনের কারো তুলনায় বেশি পানি পান করতে হবে। আপনার মোট ওজনকে ৩০ দিয়ে ভাগ করুন। ভাগের ফলাফলই বলে দেবে আপনার আদতে ঠিক কতটা পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত। অর্থাৎ আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তাহলে আপনাকে সারাদিনে দুই লিটার পানি পান করতে হবে। আপনার ওজন ৮০ কেজি হলে আপনাকে ২.৬ লিটার পানি পান করতে হবে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার জন্য পানি পান করা জরুরি। কিন্তু সেই পানি পান করার পরিমাণ ২ থেকে ৩ লিটারেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কারণ, বেশি পানি পান করলে আবার উল্টো বিপত্তি ঘটতে পারে। জেনে নিন নিয়মিত ২ থেকে ৩ লিটার পানি শরীরে ঠিক কোন কোন কাজে সাহায্য করে?

দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে

দেহের নিজস্ব তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে পানি। পর্যাপ্ত পানি পান করলে ঘামের পরিমাণ বাড়ে। ঘামলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ঘাম।

দূষিত পদার্থ দূর করে

শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না। ঘাম এবং মূত্রের পরিমাণও কমতে থাকে। কিডনির কাজ ঠিক রাখতে গেলেও পানি পান করার প্রয়োজন রয়েছে।

খাবার হজমে সাহায্য করে

খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে হজমে গোলমাল হতে পারে। খাবার পরিপাক তো বটেই, খাদ্যনালি থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত খাবার নিয়ে যেতেও সাহায্য করে জল।

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে

রক্ত প্রবাহে গতি আনতেও সাহায্য করে জল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শরীর হাইড্রেটেড রাখতে দিনে অন্তত পক্ষে ২ লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন।

অস্থিসন্ধির কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখে

শরীরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা তরুণাস্থি এবং অস্থিসন্ধির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে পানি। অস্থিসন্ধি নমনীয় রাখতে জলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

দিনে কতটুকু পানি পান করবেন

শরীরচর্চার সময়ে আমাদের ঘাম ঝরে। ফলে, অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। সেই ঘাটতি মেটাতে ব্যায়ামের কিছুক্ষণ আগে এবং পরে পানি খাওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যদি ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় ধরে শরীরচর্চা চলে, তা হলে আপনাকে প্রায় ৭০০ মিলিলিটার পানি বেশি পান করতে হবে।

ভারী কায়িক শ্রম কিংবা খেলাধুলার পর কিংবা অন্য কোনো কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়ার পর একবারে বেশি পানি পান করলে কোষের পানি ও লবণের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বড় বিপদ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে অল্প অল্প করে পানি পান করা যেতে পারে। যাদের দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাজ করতে হয়, তাদের পানির প্রয়োজনও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গায় বসে কাজ করা মানুষের চেয়ে বেশি।

অনেকেই বারবার পানি পান করতে পছন্দ করেন না। তাই আপনারা চাইলে পানি পান করার পাশাপাশি ডাবের জল, ডাল, সুপ, ফ্রুট জুস, ওআরএস-ওয়াটারের মধ্যমেও দেহে পানির ঘাটতি মিটিয়ে নিতে পারেন। কিডনির অসুখ, হার্টের অসুখ এবং লিভারের অসুখ থাকলে হুট করে পানি পান বাড়াবেন না। বরং পানিপান বাড়ানোর আগে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

তীব্র গরমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাইরে বেরবেন না। একান্তই বাইরে বেরতে হলে সুতির জামা-কাপড় পরুন। মাথায় থাকুক টুপি বা ছাড়া। মুখে-হাতে মেখে নিন সানস্ক্রিন। আর শরীর খুব খারাপ লাগলে একটা ঠান্ডা জায়গায় গিয়ে বিশ্রাম নিন। ব্যস, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই কিন্তু আপনার সুস্থ থাকার পথ আরও প্রশস্থ হবে।

চলন্তিকা উচ্চবিদ্যালয়

এই সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2025 bdkhabor
Designed By Barishal Host