শীতের রাতে
শীতের রাতে পিঠা খেয়ে- ফিরছিল অনীক অঞ্জন সুমিত; একমনে গাইছিল গান সমীর আর অমিত! পথের ধারে ঝোপের মাঝে ডাকলো যেন কেউ, আবছায়ায় মনে হলো মেয়েটির রং কালো; গঠন-গড়ন শ্যামলা তবে তার মুখটি বেশ ভালো! শীতের রাতে মুখটি দেখাচ্ছে সকরুণ-মলিন, অবাঞ্চিত সৌন্দর্য বর্ধনের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা; ওসব কি আর চোখে পড়ে-যার আছে যৌনতেষ্টা! সম্বল সেই মেয়েটির শুধুই শরীর, কম্বল পায়না যে কোনোদিনও তার গায়ে; হাঁটতে গিয়ে ওঠে না ধাপ পরা যেন শেকল পায়ে! রাস্তার কোনে ঝোপের আড়ালে, সন্ধ্যা থেকেই দেয় সে কত উঁকিঝুঁকি; স্বপ্ন আর শখ নিয়ে তার নেই কোনো আঁকাবুকি! শীতের রাতে পিঠা খেয়ে গীত বন্দনা গেয়ে- ফিরছে অঞ্জন সুজন সুমিত; গাইছিল গান তখন সমীর অনিক কবির অমিত! পথপাশের মেয়েটি স্বল্পবসনা সম্বল শুধুই শরীর, কম্বল সে কোনোদিনও পায়নি গায়ে; হাঁটতে গিয়ে ওঠে না তার ধাপ, পরা যেন শেকল পায়ে! আমার মনে হলো হয়তো দেখেছি কোথাও, কোনো এক দুপুরে বাবলা গাছের ছায়ায়; শূন্য চাহনির দৃষ্টি যেন ডাকছে এক অদ্ভুত মায়ায়! শীতের রাতে ৩০০ ফিটে পিঠা-পুলি খেয়ে- ফিরছিলাম আমি- অনীক- অঞ্জন-সুজন- সুমিত; একমনে গাইছিল গান সমীর-অমিত আর রণজিৎ! রাস্তার কোনে-ঝোপের আড়ালে- মেয়েটি দিচ্ছে শুধুই উঁকিঝুঁকি; স্বপ্ন আর শখ নিয়ে তার নেই কোনো আঁকাবুকি! সম্বল সেই মেয়েটির শুধুই শরীর, কম্বল যে পায়না কোনোদিনও গায়ে; হাঁটতে গিয়ে ওঠে না ধাপ পরা যেন শেকল পায়ে!