* (ঐ ইউনিয়নের মহিলা সদস্যরা বলেন, তিনি আমাদের সাথে বোনের মত আচরণ করেন)
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ২নং বাকশীমূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম এর বিরুদ্ধে গত ৪ জুন রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।উল্লেখিত সংবাদের শিরোনাম ছিলো নারী সদস্যাদের সঙ্গে স্ত্রীর মত আচরণ করেন তিনি। এমন সংবাদের জেরে ওই চেয়ারম্যানের সংবাদ সংগ্রহ করতে যান বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার কয়েকজন সাংবাদিক। চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত তিনজন মহিলা সদস্য নাজমা আক্তার,মোসাম্মৎ শিল্পী আক্তার ও আয়েশা আক্তারের সাথে কথা বলেন সাংবাদিকরা। এসময় মহিলা সদস্যরা জানায়,আমরা দীর্ঘ বছর যাবত এই পরিষদে নির্বাচিত সদস্য হিসেবে আছি। চেয়ারম্যান আমাদের সাথে কখনো বিরুপ আচরণ করেননি, আমাদেরকে বোনের মতো দেখেন। উনার কাছ থেকে আমরা আমাদের বেতন, ভাতা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সঠিক বন্টনের মাধ্যমে পেয়ে আসছি। তারা আরো জানান, চেয়ারম্যান আমাদেরকে সকল এলাকার সবকাজে সহযোগিতা করে থাকেন।সকলের সাথে ভালো আচরণ করে থাকেন।আমরা এধরণের হীন লেখার তীব্র নিন্দা জানাই। উল্লেখিত বিষয়ে পরিষদের আশেপাশের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এধরণের মিথ্যা সংবাদের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন, প্রতিবাদ জানান।তারা জানান , বর্তমান চেয়ারম্যান অনেক ভালো মানুষ, তার ব্যাবহারে আমরা মুগ্ধ। তিনি এই উপজেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল করিম এর সাথে কথা বললে,তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন এই পরিষদে মেম্বার ছিলাম এবং বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি,এইবারসহ আমি দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কারো সাথে কখনো খারাপ আচরণ করিনি। আমার উপস্থিত মহিলা মেম্বারের সাথে কথা বলে জেনেছেন, আমি তাদেরকে বোনের মত দেখে থাকি। যে দুজন মহিলা সদস্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাদের সাথে বিগত মেয়াদে আমি কাজ করেছি তারা বর্তমানে আমার পরিষদের সদস্য নয়। তাদের প্রাপ্য তারা বিগত মেয়াদে বুঝে নিয়ে গেছেন। যদি কোনো কিছু পাওনা থাকতো তাহলে এতো বছর পর কেন? অতএব তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং অপপ্রচার।আমার বিরুদ্ধে কথিত এক সাংবাদিক দৈনিক যুগান্তরে অনলাইনে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করব। পরিষদের সচিব মারজানা ইসলামসহ পরিষদের ১২ জন সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায় ,চেয়ারম্যান সাহেব পরিষদের কাজ সমান ভাগে বন্টন করে দেন এবং ভালো আচরণ করে থাকেন। তাকে এই ইউনিয়নের জনগণ পছন্দ করেন। এই জন্যই জনগণের ভোটে দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। আমরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হয়েছে তা তীব্র-নিন্দা জানাই। এ ব্যাপারে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) সাহিদা আক্তারের কাছে চেয়ারম্যান আব্দুল করিম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি এই পর্যন্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাইনি।আমার দৃষ্টিতে সে একজন ভালো মানুষ,তার মধ্যে আমি ভদ্রতা দেখেছি।চেয়ারম্যান চাইলে অপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
0 ভিউ