সাভারে দাম্পত্য কলহের জেরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে করে হত্যার পর নির্জন বাঁশঝাড়ে ফেলে রেখে গেছে তার স্বামী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে হত্যার পরেই গা-ঢাকা দেওয়া স্বামী সোহাগ মোল্লাকে (৩৫) গ্রেফতারের পরেই উন্মোচন হয় হত্যাকান্ডের রহস্য। রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এরআগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার সাধুপাড়া থেকে নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিহত তানিয়া আক্তার নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বাঘানগর গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত সোহাগ মোল্লা নওগাঁ জেলার সদর থানার খিদীপুর গ্রামের বাছের আলী মোল্লার ছেলে। তারা উভয়েই আশুলিয়ায় একটি স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, তানিয়া বেগমে আশুলিয়ার সাধু পাড়া এলাকায় স্বামী সোহাগকে নিয়ে বসবাস করছিল। তানিয়ার আগের ঘরেও একটি ছয় বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। তানিয়ার স্বামীও আগে বিয়ে করেছিলেন এবং তার সেই স্ত্রী রয়েছে। তানিয়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষযটি জানার পর থেকেই সোহাগ খুশি ছিলেন না। সে কারণে তানিয়া ও সোহাগের মধ্যে পারিবারিক কহলের সূত্রপাত ঘটে। পরিবারিক কলহ থেকে তানিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহাগ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বুধবার (২৩ এপ্রিল) সোহাগ তানিয়াকে নিয়ে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকায় ঘুরতে যায়। তখন বাঁশঝাড়ের ভেতরে নিয়ে গিয়ে তানিয়ার সাথে শারীরিক সর্ম্পক করে এবং গলা টিপে হত্যা করে। পরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় নিহতের মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সোহাগ।
এসময় পুলিশ সুপার আরো বলেন,পরে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল ) বিকেলে স্থানীয়রা ওই নারীর অর্ধনগ্ন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং হত্যার রহস্য উন্মোচনে তদন্তে নামে। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সোহাগকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। তখন ঘাতক স্বামী পরিকল্পীত হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা ও পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) হেলাল উদ্দিন।
Leave a Reply