শীত মৌসুমে বাহারি সবজির মধ্যে অন্যতম সবজি ফুলকপি। শীতের শুরুর দিকে এই ফুলকপির চাহিদা থাকে আকাশচুম্বী। শীত মৌসুমের শুরুতেই প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা পিস পর্যন্ত। মৌসুমের শুরুতেই ফুলকপির দাম ভালো পেলেও বর্তমানে চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। মৌসুমি এই সবজি চাষে ভালো লাভের আশায় চাষ করে এখন বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা। ভালো ফলনেও কপাল পুড়ছে তাদের। পাইকারি প্রতি পিস ফুলকপি সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ এক টাকা করে বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ডাক্তারের মোড়ে গিয়ে দেখা যায় ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ এক টাকা করে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি।
চাষিরা জানান, গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছেন তারা। ফলে এ বছরও ভালো লাভের আশায় কপি চাষ করেছেন তারা। তবে ফুলকপির দাম যা দাঁড়িয়েছে তাতে লাভ তো দূরে কথা, খরচ ওঠা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। মৌসুমের শুরুতে আগাম জাতীয় এ সবজির উৎপাদন কম থাকায় দাম ছিল বেশ চড়া। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে এমন ধস নেমেছে বলে মনে করছেন তারা।
হাপানিয়া এলাকার চাষি রহুল আমি বলেন, গেল বছর ২০ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছিলাম। সেই আশায় এবছর এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আমার। কিন্তু এখন ফুলকপি ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা প্রতি পিস বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও কপি কেনার মতো মানুষ নেই। এক বিঘা জমির কপি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে না। এ অবস্থায় ধার-দেনা করে ফুলকপি চাষ করতে যে খরচ হয়েছে সেই টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কালাম আজাদ জানান, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির চাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬ হাজার ২০০ টন ফুলকপি উৎপাদনের সম্ভবনা।