রোজার প্রথম ও দ্বিতীয় দিনেই কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০শ টাকায়, ছাগলের মাংস বিক্রি হাজার টাকায়। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এবং মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের কেউ এখন আর মাংস কিনতে পারছেন না। গরু ছাগলের মাংসের সাথে বাড়ছে মুরগি ও মাছের দাম ।গরীবের পুষ্টির চাহিদার প্রধান উপকরণ ছিল বয়লার মুরগি। সেটি এখন ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ।আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে 300 থেকে 350 টাকায়, লেয়ার ৩২০ টাকায়। দেশি মুরগি ৭০০ ৮০০ টাকায় । মাংসের সাথে ডিমের দামও এখনো নাগালের বাইরে। ফার্ম এর ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ফলে চাহিদা কমছে এসব নিত্য পণ্যের।
শুক্রবার ও শনিবার সকালে ও দুপুরে বুড়িচং উপজেলা সদরে ও শঙ্কুচাইল, কালিকাপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে মানুষ মাংস মাছের দাম শুনেই স্থান ত্যাগ করছে। বুড়িচংয়ে সবচেয়ে বড় মাংসের বাজার নিমসার ও সদর ঘুরে দেখা গেল হাড় ছাড়া কসাইরা মাংস বিক্রি করছে না। প্রতি কেজি ২৫০ গ্রাম হাড় বা চর্বি নিতে বাধ্য করছে ক্রেতাদের। একই চিত্র ফকির বাজার বাজার ও কালিকাপুর বাজারেও । মাংসের সঙ্গে মাছের দামও হু হু করে বাড়ছে। ভরাসার বাজারে কথা হয় , মাংস ক্রেতা আবদুল মান্নান এর সাথে। তিনি জানান, আমাদের মত সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ আর গরুর মাংস খেতে পারবে না।
কম দামে বয়লার ও এখন কেনা যায় না।মাছ বিক্রেতা সোহেল রানা জানান, তার দোকানে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০/৫০০ টাকায়। আর চিংড়ি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায়। যা আগে ২০০ ও ৫০০ টাকায় বিক্রি করতাম।
এদিকে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে শনিবার উপজেলার ভরাসার বাজারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও কংশনগর বাজারে সহকারী কমিশনার ভূমি নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 ভিউ