লকডাউনে আয় কমেছে, তাই কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভিড় টিসিবির ট্রাকের সামনে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই প্রয়োজনীয় পণ্যটুকু কেনার জন্যই দীর্ঘ এ লাইন। তবে অধিকাংশ মানুষই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব একেবারে নেই বললেই চলে; ট্রাক সেলের কার্যক্রমের সামনে।
বুধবার (৭জুলাই) রাজধানীর রামপুরা ও মালিবাগ বাজারের সামনে টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় এমন দৃশ্য দেখা মিলে। টিসিবির চাল ৩০, ডাল, আটা ২৩, চিনি ৫৫ ও তেল ১০০টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্বের ছিটেফোঁটাও নেই এখানে। অধিকাংশ ক্রেতাদের মুখেই নেই মাস্ক। কেউ কেউ থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন মাস্ক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের উপস্থিত টের পেলেই মুখে তুলছেন মাস্ক।
সামাজিক দূরত্ব না মেনে পণ্য কেনা সম্পর্কে এক লাইনে দাঁড়ানো এক ক্রেতা বলেন, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। চারদিকে এত মানুষ চাইলে সচেতনভাবে দাড়ানো যাচ্ছে না। কি করবো চাল ডাল তো কিনতে হবে, বাজারে অনেক দাম। এত টাকা দিয়ে কিনতে পারবো না। কষ্ট হলেও এখান থেকে কিনতে হবে। ঘরে ভাত না থাকলে কি আর লকডাউন আর সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব? যেভাবেই হোক খাবার যোগাড় করতে হবে। পেট কি আর লকডাউন বুঝে?
রামপুরায় ট্রাক সেলের লাইনে দাঁড়ানো আরেক ক্রেতা বলেন, লকডাউনে কাজ নাই খামু কি? দোকানপাট বন্ধ, রাস্তায় বেরও হইতে দেয় না। আয় রোজগার নাই, শ্রমিক আমরা। লাইনে দাঁড়ানো ছাড়া উপায় নাই। ঘরে কিচ্ছু নাই। লকডাউনে গরিবের কথা কেউ চিন্তা করে না। সবাই আছে সামাজিক দূরত্ব নিয়া। আর এইদিকে আমরা না খাইয়া মরি।
সামাজিক দূরত্ব না মেনে পণ্য বিক্রি সম্পর্কে, রামপুরায় ট্রাক সেলের এক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অনেক মানুষ। এত মানুষের কাছে বিক্রি করার মতো আমাদের কাছে পণ্য নাই, তাই সবাই যেভাবে পারছে ঠেলাঠেলি করে লাইনে দাঁড়াইতেছে। আমরা বারবারই বলছি ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়ান কিন্তু তারা শুনে না।
0 ভিউ