সমাজে চলতে গিয়ে মানুষ একে অপরের প্রতি যেসব বিষয়ে সব থেকে বেশি নির্ভরশীল হয় তার একটি বিশেষ প্রয়োজন হল ধার-দেনা, ঋণ কর্জ করা। অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে এসে তাকে ঋণ দেওয়া. সাহায্য করার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে ইসলামে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘কে আছে যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা উত্তম ঋণ দেবে, তাহলে তিনি তার জন্য একে বর্ধিত করে দেবেন এবং তার জন্য সম্মানজনক প্রতিদানও রয়েছে।’ -(সুরা-৫৭ হাদিদ, আয়াত: ১১)।
অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, নিশ্চয়ই দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, যে ক্ষেত্রে তারা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করে তাদের প্রতিদান বর্ধিত করা হবে এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান।’ (সুরা- হাদিদ, আয়াত: ১৮)।
১. আইনের দৃষ্টিতে (বাংলাদেশ সহ অনেক দেশের নিয়ম)
মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত ঋণ তার সঙ্গে “মরে” যায় না, বরং তার সম্পদ থেকে শোধ করতে হয়।
মৃত্যুর পর আইন অনুযায়ী:
মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি প্রথমে ঋণ পরিশোধে ব্যবহার হয়।
বাকি থাকলে পরে উত্তরাধিকারীরা সম্পদ ভাগ পায়।
উত্তরাধিকারীরা ব্যক্তিগতভাবে ঋণের দায়ে বাধ্য নয়, যদি না তারা গ্যারান্টর থাকে বা ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে থাকে।
অর্থাৎ, যদি সম্পত্তি ঋণ মেটানোর জন্য যথেষ্ট না হয়, তখন বাকি অংশ সাধারণত “মাফ” হয়ে যায় (কিন্তু ব্যাংক বা পাওনাদার ক্ষতি গুনে)।
২. ইসলামের দৃষ্টিতে
ইসলামে ঋণ রাখা খুবই গুরুতর বিষয়।
রাসূল ﷺ বলেছেন:
"শহীদ ব্যক্তি তার সব গুনাহ ক্ষমা পাবে, তবে ঋণ ছাড়া।" (সহিহ মুসলিম)
ইসলামে উত্তরাধিকার বণ্টনের আগে মৃতের:
কাফন-দাফনের খরচ মেটানো হয়।
ঋণ শোধ করা হয়।
তারপর উইল থাকলে তা পূরণ করা হয় (মোট সম্পদের সর্বোচ্চ ১/৩ অংশ)।
তারপর বাকি সম্পদ উত্তরাধিকারীদের মাঝে ভাগ হয়।
তাই মুসলমানদের জন্য মৃত্যুর আগে ঋণ শোধ করা বা অন্তত শোধের ব্যবস্থা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৩. প্র্যাকটিক্যালভাবে কী হয়
যদি কারও ঋণ থাকে এবং সম্পত্তি থাকে → সেই সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ শোধ করা হয়।
যদি সম্পত্তি না থাকে → পাওনাদার সাধারণত আর টাকা পায় না, তবে পরিবারের উপর সামাজিক চাপ থাকতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে আত্মীয়-স্বজন বা সন্তানেরা নিজের ইচ্ছায় ঋণ শোধ করে, যেন পরিবারের মান-সম্মান বজায় থাকে।
Web: bdkhabor.com. call : +8801823218888. Email: infobdkhabar@gmail.com
www.facebook.com/bdkmultimedia ★ www.facebook.com/bdkhabor24 ★ www.youtube.com/@bdkhabortv