ভুল-শুদ্ধ মিলেই জীবন। ত্রুটিহীন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। জীবনচলার পথে কখনো সচেতনভাবে, কখনো অবচেতনে আমরা ভুল করে ফেলি। তবে সত্যিকার মানুষ ভুলে অটল থাকতে পারে না—বিবেক, দায়বদ্ধতা ও পরকালের ভয় তাকে অনুশোচনায় ভোগায় এবং সংশোধনের পথে ধাবিত করে।
গুনাহ—সবচেয়ে বড় ভুল>
আল্লাহর অবাধ্যতা ও রাসুল (সা.) এর সুন্নাত থেকে বিমুখ হওয়াকেই বলা হয় গুনাহ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা সতর্ক করেছেন—“তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য গুনাহ ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই যারা গুনাহ করে, অচিরেই তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের বদলা দেয়া হবে।” (সুরা আনআম, আয়াত: ১২০)
গুনাহের শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাতে ভোগ করতে হয়। তবে তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন—“আমি অবশ্যই ক্ষমাকারী তার জন্য, যে তাওবা করে, ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত হয়।” (সুরা ত্বাহা, আয়াত: ৮২)
আল্লাহর খুশি হওয়ার অন্যতম কারণ>
রাসুল (সা.) বলেন—“তোমাদের কেউ মরুভূমিতে হারানো উট ফিরে পেয়ে যতটা খুশি হয়, আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার তাওবাতে তার চেয়েও বেশি খুশি হন।” (বুখারি, হাদিস: ৬৭০৯)
প্রকৃত তাওবা মানে—পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় অঙ্গীকার, অন্যের হক ফিরিয়ে দেওয়া ও আল্লাহর আনুগত্যে ফিরে আসা।
ইসলামে তাওবার ছয় শর্ত>
চতুর্থ খলিফা আলী (রা.) বলেন, তাওবা হলো ছয়টি বিষয়ের সমষ্টি—নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, ছুটে যাওয়া ফরজ-ওয়াজিব ইবাদত পূরণ করা, অন্যের হক ফেরত দেওয়া, শারীরিক বা মৌখিক ক্ষতির জন্য ক্ষমা চাওয়া, ভবিষ্যতে পাপ ত্যাগের দৃঢ় সংকল্প, আল্লাহর আনুগত্যে সমর্পণ।
গুনাহ থেকে মুক্তির গুরুত্ব>
আল্লাহ বলেন— “হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো, যেন সফলকাম হতে পারো।” (সুরা আন-নূর, আয়াত: ৩১)
গুনাহ মানুষের জীবন সংকুচিত ও অশান্ত করে দেয়। রাসুল (সা.) বলেন—
“যে গুনাহ ত্যাগ করে তাওবা করলো, সে গুনাহহীন মানুষের মতো।” (ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৪২৫০)
উপসংহার>
আমরা যদি যথার্থ তাওবা করে পাপ ত্যাগ করি, তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি লাভ সম্ভব। অধিক তাওবা ও গুনাহমুক্ত জীবনই হোক আমাদের লক্ষ্য।
Web: bdkhabor.com. call : +8801823218888. Email: infobdkhabar@gmail.com
www.facebook.com/bdkmultimedia ★ www.facebook.com/bdkhabor24 ★ www.youtube.com/@bdkhabortv