বর্তমানে ’ কোভিড ১৯’ এর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চলছে। এক্ষত্রে জুম এপস , ফেস বুক গ্রæপ ও ইউটিউবের ভুুমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য। তাছাড়া সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমেও সরকারিভাবে চলছে শিক্ষাদান কার্যক্রম।ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে ক্লাশ পরিচালনা করলে শিক্ষার্থীগণ তা যে কোন সময় মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে তা ঘরে বসেই আয়ত্ব করতে পারে। এ ধরণের ডিজিটাল ক্লাশ উপস্থাপনা, ধারণকৃত ভিডিও ইডিটিং করে শিক্ষার্থদের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। এধরণের একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে কৃতিত্ব অর্জণ করেছেন প্রভাষক মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম।
তিনি ”মমিন মোল্লা: নামেই সর্বাধিক পরিচিত একজন সফল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। তিনি ” ভিডিও প্রোডাকশন ” বিভাগে ” ই লার্নি কোর্সে ” অংশগ্রহণ করে এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জণ করেন। ” ইনফর্মেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনলজি ডিভিশন” থেকে সনদ লাভ করে বর্তমানে কলেজের ছাত্র-ছাত্রিদের জন্য সফলভাবে অনলাইন ক্লাশ পরিচালনা করছেন।উল্লেখ্য তিনি কুমিল্লার মুরাদনগরের হায়দরাবাদে অবস্থিত সামছুল হক কলেজের ” পৌরনীতি ও সুশাসন ” বিষয়ের একজন প্রভাষক হিসাবে ২০০২ সাল থেকে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ” মুক্তপাঠের মাধ্যমে ” কোভিড ১৯ এবং ডায়াবেটিকস ” বিষয়ে ” ডায়েবেটিকস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ থেকে সার্টিফিকেট অফ পার্টিসিপেশন ” অর্জন করেন। তিনি ” সিভিক্স মমিন স্যার ”ও ” মমিন মোল্লা ” নামে দুটি ইউটিউব চ্যানেল গত এক দশক ধরে সাফল্যজনকভাবে পরিচালনা করে আসছেন। এ চ্যানেল দুটির শিক্ষা, সাহিত্য ধর্ম, কুমিল্লার মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক ভিডিওগুলো দর্শক-শ্রোতাদের নজর কেড়েছে। এছাড়া সৃজনশীল কবি, বিচক্ষণ মানবাধিকারকর্মী, কিটো ক্যাম্পেইনার, মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সাথে গত তিন দশক ধরে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন।তিনি ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়ের গন্ডি না পেরোতেই সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় নিজেকে ্একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে আত্মনিয়োগ করেন। ছাত্র জীবনে ” বোর্ড স্ট্যান্ডধারী ”মমিন মোল্লা ১০০টিরও অধিক পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসাবে ফিচার ,কলাম ও ভ্রমণ কাহিনী লিখে অনন্য মর্যাদা লাভ করেন।
0 ভিউ