ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন নিজ অফিসের অস্থায়ী কর্মচারী জাকির হোসেন। বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে বিদ্যুৎ অফিসের দুটি রুমে প্রবেশ করে অত্যান্ত উচ্চস্বরে বলেন, সুমন হোসেন সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য বিদ্যুৎ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্থ ও অতিষ্ট। তিনি প্রত্যেকটি গ্রাহকের সংযোগ ২ মাস পর চলতি সংযোগ বিচ্চিন্ন করে দেয়।
এমনি আমার একটি সংযোগও ২ মাস চলার পর বিচ্চিন্ন করেছেন। এ সময় ফেসবুক লাইভে থাকা অবস্থায় মারমুখী হয়ে আরেক কর্মচারী ফারুককে শালারপুত দালাল বলে গালি দেয় জাকির। জাকির মুঠোফোনে বলেন, এছাড়াও তিনি বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আর্থিক লেনদেন করতে না পারলে গ্রাহককে মামলা দেন। লেনদেন করতে পারলে ছেড়ে দেন। তার হাতে এমন কয়েকটি প্রমান রয়েছে বলে অভিযোগ করে মুঠোফোনে বলেন জাকির হোসেন।
জাকির আরো বলেন, সুমন হোসেন সরদার নতুন মিটার সংযোগের ফি পনের শত টাকার পরিবর্তে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা নিচ্ছেন গ্রাহক থেকে, এতে সরাইলের গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এর কিছুদিন আগেও আরেক অস্থায়ী কর্মচারী আল আমিন এই কর্মকর্তার নামে দুর্নীতির বিশাল অভিযোগ এনেছিলেন। এ বিষয়ে উপ-সহকারি প্রকৌশলী সুমন হোসেন সরকার বলেন, কাগজপত্র না থাকায় তাহার চলতি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেছি। অবৈধ সংযোগ ধরা পড়লে ঘটনাস্থলে মামলা না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ সংযোগ ধরার পর প্রসেসিং করতে দুই-একদিন সময় লেগে যায়। এরপর মামলা দেওয়া হয়।
0 ভিউ