যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শুড়ারঘোপ গ্রামে মায়ের সাথে অভিমান করে সুমি খাতুন (৩০) ও তার শিশু কন্যা আখি মনি (৬) আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে নিজ বাপের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ও নাতনী।এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানী ইউপি সদস্য মমিনুর রহমান জানান, ৫ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদের পর সুমি খাতুন তার শিশু কন্যা আখি মনিকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন।সুমির বিবাহ নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে তার প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি হতো। মঙ্গলবার তার মা তাকে এ নিয়ে অনেক বকাঝকা করেন। একপর্যায়ে পারিবারিক অশান্তি ও মায়ের ওপর অভিমান করে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সুমি খাতুন প্রথমে মেয়েকে বিষপান করে নিজেও বিষপান করেন।
খবর পেয়ে তার এলাকার লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু আখি মনিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং মুমূর্ষ অবস্থায় মা সুমি খাতুনকে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সুমি খাতুন মারা যান। মরদেহ দুটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, বিষয়টি শুনেছি সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।কি জন্য আত্নহত্যা করলো তদন্ত করে দেখা হবে।এ বিষয়ে শার্শা থানায় দুটি অপমৃত্য মামলা রেকর্ড করা হবে।
0 ভিউ