লকডাউনে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে প্রথম দিকে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তি লক্ষ্য করা যায়। আজও রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে গুটি কয়টা পণ্য ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের দাম এখনো নামেনি। বাড়তি দামেও বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বাজারে পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়তে থাকে। কাঁচা সবজির বাজার, মাছের বাজার, মুদি দোকানগুলোতেও ভিড়। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেও বাজার করছেন অনেকে।
বুধবার (৭ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ বাজার, বউবাজার, হাজীপাড়া, রামপুরা এলাকার বাজারগুলোতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। সকালের ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যেও ক্রেতাদের যথেষ্ট সমাগম বাজারে দেখা যায়। লকডাউনে আয় কমেছে অথচ পণ্যে দাম এখনো না কমায় অস্বস্তি দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের মাঝে।
বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, আলু ২৫, টমেটো ৮০-৯০, ঢেঁড়স ৪০-৫০, কাঁকরোল ৫০, বেগুন ৫০-৬০, কাঁচা মরিচ ৬০, পেঁপে ৪০, কচুর লতি ৬০-৭০, বরবটি ৫০-৬০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে আসা নতুন সবজির দামও বাড়তি। আটি প্রতি লাল শাক ২০-২৫, পুইশাক ২৫-৩০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসে কাঁচা সবজির দাম প্রায় কেজি প্রতি ২০-৩০ বেড়েছে।
মালিবাগ বাজারের এক ক্রেতা বলেন, কঠোর লকডাউনে যেহেতু কাজ বন্ধ, আমাদের আয়ও হয়নি। আমরা দিনমজুরের কাজ করি। প্রতিদিন কাজের টাকা প্রতিদিন পাই আর তা দিয়েই বাজার করে সংসার চালাই। এখন কাজ নেই। বাজারে শাক সবজির দামও বেশি। অল্প টাকা দিয়ে সংসার চলে না এমন বেশি দাম থাকলে।
বেসরকারি অফিসের চাকরিজীবী মুছলেম উদ্দীন বলেন, ছোট একটা বেসরকারি অফিসে চাকরি করি। অল্প টাকা আয়। অল্প আয় দিয়ে সংসার ঠিক মতো চলে না। লকডাউনে আয় তো আরও কমেছে, কিন্তু পণ্যের দাম যদি না কমে তাহলে আমাদের সংসার বাঁচবে কিভাবে। পণ্যের দাম কমানোর জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে তো না খেয়ে মারা যেতে হবে। ঘর ভাড়া দিয়ে আয়ের কিছুই থাকে না।
বিক্রেতা রহিম মিয়া বলেন, আমরাও তো চাই দাম কমুক। আমাদেরও তো সংসার আছে। আমরা তো ইচ্ছা কইরা দাম বাড়াই না। লকডাউনে একটু দাম দিয়েই কিনতে হয়; তাই বিক্রিও কিছুটা দাম বেশি। তবে আস্তে আস্তে কমতেছে দাম।