বেনাপোল বন্দরে রফতানি বাহী মাছের ৩টি ট্রাক তল্লাশী নিয়ে বিজিবি-কাস্টমস দ্বন্ধে প্রায় দুই ঘন্টা রফতানি বানিজ্য বন্ধ ছিল। তবে এসময় সচল ছিল আমদানি বাণিজ্য।
সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা কোন পণ্য ভারতে রফতানি হয়নি।
জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের সাদা বা দেশি মাছ রফতানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনা সাউদার্ন সি ফুড লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান সোমবার সন্ধ্যায় ভারতে রফতানির উদ্দ্যেশে ৩ টি পিকআপে সাড়ে ৭ টন বিভিন্ন জাতের পাবদা টেংরা তেলাপিয়া মাছ নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসে। কাষ্টমস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ট্রাক নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বিজিবি ট্রাক গতিরোধ করে । পরে সাদা মাছের নামে মিথ্যা ঘোষনায় ইলিশ পাচার হচ্ছে অভিযোগ তোলে বিজিবি।পরেে ট্রাকগুলো বিজিবি সদস্যরা ক্যাম্পে নিতে চাইলে বাধ সাধে কাস্টমস কর্মকর্তারা। এসময় বিজিবি-কাস্টমস সদস্যরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়। কাষ্টমসের ছিলেন, যুগ্ম কমিশনার নুসরাত জাহান,ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, বেল্লাল হোসেন, অনুপম চাকমা, শুল্ক গোয়েন্দার সহকারি পরিচালক মাসুদুর ররহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে সমঝতা হয়ে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে নোম্যান্সল্যান্ডে ট্রাকে থাকা মাছের সকল কাটন তল্লাশি করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোন ট্রাকে অবৈধ পণ্য বা ইলিশ মেলেনি।
খুলনা বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন রফতানির সাদা মাছের সাথে ইলিশ মাছ ভারতে পাচার হচ্ছে। সে কারনে বিজিবি মাছের চালানটি পরীক্ষা করে।
0 ভিউ