কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদর থেকে জগতপুর-সাদকপুর হয়ে গোমতী নদীর বেরিবাঁধ পর্যন্ত যাওয়ার অন্যতম রাস্তাটি ছোট-বড় গর্তে একাকার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা-চূড়া থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারি এলাকাবাসির। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ, সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল করে। উপজেলা সদরের সাথে জগতপুর, সাদকপুর, শ্যামপুর, মালাপাড়া, আসাদনগর গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় উঠে গেছে পিচ। অনেক জায়গায় হয়েছে ডোবার মতো গর্ত। চলতি বর্ষার এসব গর্তে পানি জমে থাকায় যানবাহন আটকা পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
বর্তমানে পুরো রাস্তা জুড়ে ভাঙ্গা এবং গর্ত। সামান্য বৃষ্টি আসলেই গর্তগুলো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর ধারণা কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য এড. আব্দুল মতিন খসরু রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সম্পন্ন করতে পারেনি বিধায় আর পুনঃনির্মাণ হবে না।
এলাকাবাসীরা জানায়, রাস্তাটি প্রথম পাকা করা হয় ২২ বছর আগে। ১৬ বছর পরে রাস্তাটি নতুন করে সংস্কারের জন্য ২০১৬ সালে কাজ শুরু করে। বুড়িচং উত্তরপাড়া এলাকা থেকে জগতপুর পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ করা হয়। সাদকপুরের শুরু থেকে শ্যামপুর গোমতী নদীর বাঁধ পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ অসমাপ্ত রেখেই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেয়! অভিযোগ রয়েছে রাস্তার কাজে চাঁদা চাওয়ায় ঠিকাদার কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে যায়। ৫ নং পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন জাহের বলেন, রাস্তার কাজে বাধা সৃষ্টি করে চাঁদা চাওয়ায় ঠিকাদার এই রোডের কাজ নিতে চায় না। রাস্তাটি নতুন করে টেন্ডার করা হয়েছে আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে জানান।
বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়ুয়া বলেন, এই রাস্তার কাজে চাঁদা চাওয়ায় এর আগের ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছে। এখন আবার নতুন করে বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে বিল পাস হলে কাজ শুরু হবে।